আবদুর রউফ, ধামরাই (ঢাকা)

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

বিকাশ এজেন্টের সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারক লাপাত্তা

ঢাকার ধামরাইয়ে জয়পুরা বাজারের আজম স্টোর নামক এক বিকাশ এজেন্টকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিনটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে প্রতারক চক্র। তবে জয়পুরা বাজারের সিসি টিভি ক্যামেরায় প্রতারক চক্রের সদস্যদের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ধামরাই থানার পুলিশ, কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতারক চক্রের কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ধামরাই উপজেলার জয়পুরা বাজারের উত্তরপাশে আজম স্টোর বিকাশ এজেন্ট দোকানে এ ঘটনা ঘটে। দোকানের মালিক মো. আজম আলী, তার বাড়ি জয়পুরা বাজার এলাকায়।

জয়পুরা বাজারের বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, গতকাল দুপুরে আজম স্টোরের মালিক মো. আজম আলী দুপুরের পর বাড়ি থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জয়পুরা বাজারের দোকানে আসেন। আজম দোকানের তালা খোলে ভেতরে প্রবেশ করে ডয়ারের মধ্যে টাকার ব্যাগটি রাখতেই প্রতারক চক্রের সদস্যরা তার সঙ্গে দোকানের ভেতরে ঢোকে। এ সময় আজম আলী বাকি শাটার খোলার চেষ্টা করলে তা না খোলায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা আজম আলীকে বলে আপনার শাটারে কে যেন গুনা দিয়ে আটকে রেখেছে। তখন আজম ওই গুনার বান খোলতে বাইরে গেলে এদিকে প্রতারক চক্রের সদস্যরা গোপনে টাকার ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আজম শাটার খোলে হাত-পা দোয়ে দোকানে প্রবেশ করে টাকার ব্যাগ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে সান্তনা দেন। পরে বাজার কমিটির লোহজন এসে সিসি টিভির ফোটেজ দেখেন। এতে সিসি টিভির ফোটেজে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে টাকার ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে তারা ঢাকা আরিচার রোড দিয়ে চলে যেতে দেখে। তবে প্রতারক চক্রের কাউকে তারা চিনতে পারেনি।

এ ব্যাপারে জয়পুরা বাজার কমিটির সদস্য পাশের দোকানের মালিক মো. জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে আজম বাড়ি থেকে বিকাশ অফিসে টাকা দেবে বলে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানে প্রবেশ করেন। কিন্তু প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে। দিনদুপুরে এ ধরনের ঘটনা আসলে দুঃখজনক। তবে পুলিশ এসেছিল, তাদের আমরা সিসি টিভির ফোটেজ দেখিয়ে দিয়েছি।

বিকাশ দোকানের মালিক আজম এ ব্যাপারে বলেন, আমি আজ দুপুরে বিকাশে টাকা লাগবে বলে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এসেছি। একটি শাটার খোলে ব্যাগটি ভেতরে রেখে বাকি শাটার খুলতে গিয়ে দেখি সেটা আর খোলছে না, তখন বাইরে থেকে একজন বলল, আপনার শাটার গুনা দিয়ে বাঁধ দেওয়া আছে। আমি তখন সেই গুনার বাঁধন খুলতে বাইরে যাই। পরে হাত-মুখ ধুয়ে দোকানে এসে দেখি আমার ব্যাগ নেই। এ ব্যাপারে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসি টিভি ফোটেজ দেখিছি। সে অনুযায়ী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ প্রতারকদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close