সংসদ প্রতিবেদক

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

সংসদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

২৬ মার্চের আগেই চূড়ান্ত তালিকা : ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে জানিয়েছেন, ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন সারা দেশের ১ লাখ ৮২ হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। যাদের নামে কোনো আপত্তি নেই, এমন মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। যেসব তালিকার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি নেই, যেমন ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, মুজিবনগর সরকারের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, যারা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও নার্স, শিল্পী-কলাকুশলী যাদের ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আমরা মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করব। সরকারি দলের সেলিম আলতাফ জর্জের পক্ষে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানান, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘৃণা প্রকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের জায়গায় নির্বাচনের কাজ চলছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার আবেদীন খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জাতীয় পতাকার মতো রঙ দিয়ে সাজানোর প্রস্তাব খুবই প্রশংসনীয়। বিষয়টি আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার প্রশাসন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের দৃশ্যমান স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা বড় ফলকে লিখে তা টানানোর নির্দেশ দেওয়া আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close