প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

বগুড়ায় ছেলেকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা

চাঁদপুরে বাবাকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ ছেলের

বগুড়ার শেরপুরে এক বছর বয়সী ছেলেকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন মা। আর চাঁদপুরে বাবাকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে মাদকাসক্ত ছেলে। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট :

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি বগুড়ার শেরপুরের বাগড়া কলোনি এলাকায় স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শামীম হোসেন বাবু (১) নামের শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর মা শান্তা বেগম (১৯) বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের বাগড়া কলোনি এলাকার আবু তালেবের ছেলে মামুনুর রশীদের সঙ্গে গত ৩ বছর আগে পাশের খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের সানাউল্লাহ প্রামাণিকের মেয়ে সামছুন্নাহার শান্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী ও শাশুড়ির পছন্দ না হওয়ার কারণে-অকারণে শান্তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল এবং টাকা চাইত। গত বৃহস্পতিবার সকালে শাশুড়ি মাসেদা বেগম তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শান্তা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া করে। এর একপর্যায় শাশুড়ি তাকে মারধর করে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টার দিকে বাড়ি থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটার উত্তরে বাগড়া কলোনি দাখিল মাদরাসার সামনে প্রথমে ১৪ মাস বয়সের একমাত্র ছেলে শামীম হোসেন বাবুকে গ্যাস ট্যাবলেট (বিষ) খাওয়ায়। পরে নিজেও গ্যাস ট্যাবলেট (বিষ) খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বিকেল ৩ টার দিকে তাদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মা ও ছেলে মারা যায়।

এ ঘটনায় শান্তার পিতা সানাউল্লাহ প্রামাণিক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় মামুনুর রশীদ ও মাসেদা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, এ বিষয় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

চাঁদপুর : চাঁদপুরে বাবা মুছা গাজীকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন মাদকাসক্ত ছেলে হোসেন গাজীর। গতকাল শুক্রবার চাঁদপুর সদর উপজেলার ইচলী এলাকার গাজী বাড়িত এই ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা গাজী পেশায় চায়ের দোকানদার ছিলেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি ইবরাহিম খলিল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মাদকের টাকার জন্য বাবা-ছেলে মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। কিন্তু বাবা টাকা দিতে রাজি হননি। পরে শুক্রবার ভোরে ফজর নামাজ পড়ে ঘরে ঘুমালে ছেলে হোসেন দা দিয়ে গলা কেটে বাবাকে হত্যা করেন। এরপর হোসেন চাঁদপুর সদর মডেল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি। পুলিশ জানায়, হোসেন গাজীকে দুই মাস আগে ঢাকার একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মাদক থেকে ফিরতে পারেননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close