কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

কুমিল্লা ও বি.বাড়িয়ার চার খুনে ৮ জনের ফাঁসি

কুমিল্লার লাকসামে এক হাজার ৪০০ টাকার জন্য তিন ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় ৫ জনকে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনকে হত্যার দায়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুরুন্নাহার বেগম শিউলি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ রাজিয়া সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন।

কুমিল্লায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেনÑ লাকসামের শ্রীয়াং এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে আবদুর রহমান, ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. শহিদুল্লাহ সহিদ, আবদুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেন, মো. সেলিমের ছেলে মো. রাসেল ও মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে মো. স্বপন।

আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নিহত আবদুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ সালমা বেগম, সজল দেবনাথ ও আলাল মিয়া। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার ভাদুঘর গ্রামে।

কুমিল্লা : রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু তাহের জানান, ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং বাজারে দোকান বন্ধ করে কাঁচামাল ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ, পরীক্ষিত দেবনাথ ও পান ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১২টার সময় শ্রীয়াং ও রাজাপুর রাস্তার বদিরপুকুর নামক স্থানে পৌঁছলে আসামিরা ডাকাত পরিচয় দিয়ে মাত্র এক হাজার ৪০০ টাকার জন্য তাদের রাস্তার পাশে ফসলি জমিতে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। নিহত উত্তম দেবনাথ ও পরীক্ষিত দেবনাথ মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতাপপুর গ্রামের মণিন্দ্র দেবনাথের ছেলে। এ ছাড়া বাচ্চু মিয়া লাকসাম জগতপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। এরপর ওই বছরের ৭ জানুয়ারি নিহত বাচ্চুর ছোট ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে লাকসাম থানা পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে পাঁচ আসামি ফারুক হোসেন, আবদুর রহমান, শহীদ, স্বপন ও রাসেলকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. আবু তাহের ও আসামিপক্ষে নাঈমা সুলতানা মুন্নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বাদীর আইনজীবী তারিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০১১ সালের ৫ জুন রাতে মুদি দোকানি আবদুল করিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে উড়শিউরা এলাকায় ঝোপের ভেতরে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহত করিমের প্রথম স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগম, সজল দেবনাথ, আলাল মিয়া ও লিটন দেবনাথের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নিহত আবদুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ সালমা বেগম, সজল দেবনাথ ও আলাল মিয়া। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার ভাদুঘর গ্রামে।

রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্তদের মধ্যে শুধু সালমা বেগম আদালতে ছিলেন। অন্যরা পলাতক।

এ মামলার আরেক আসামি লিটন দেবনাথকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ২০১১ সালের ৫ জুন সদর উপজেলার ভাদুঘর গ্রামের আবদুল করিম হত্যা মামলায় এই রান দেয় আদালত।

মামলার রায়ে বাদী শিউলি বেগম ও আইনজীবী তারিকুল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close