আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
আশুলিয়ায় প্রাইভেট ক্লিনিকে অভিযান : ১৫ লাখ টাকা জরিমানা
দুইটি চিকিৎসাকেন্দ্র সিলগালা
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ৩টি প্রাইভেট ক্লিনিকে র্যারের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ক্লিনিকগুলোর বিভিন্ন অনিয়ম ও অনুমোদনহীন হাসপাতাল পরিচালনার দায়ে দুইটি ক্লিনিককে সিলগালাসহ তিনটিতে ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার র্যাব হেডকোয়ার্টারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে ডেন্ডাবর গণি জেনারেল হাসপাতাল নামে ক্লিনিককে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা ও ওই ক্লিনিকের মেসার্স অনন্যা মেডিসিন কর্নার নামের একটি ফার্মেসিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, হাসপাতালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আসাদ উল্লাহকে আসামি করে মামলা দায়ের ও হাসপাতালটি সিলগালা করা হয় । পরে পাশর্^বর্তী পলাশবাড়ি হাবিব ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ক্লিনিকটির ম্যানেজার বিলু দাসকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিকটির ব্লাড শাখার কাজের কোনো অনুমতি না থাকায় সেটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে ওই এলাকার মমতাজ উদ্দিন জেনারেল হাসপাতালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায়। এ সময় হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন পরিচালনায় পরমাণু শক্তি কমিশনের অনুমতি না থাকা, অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল আইটেম দিয়ে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনাসহ অপারেশন থিয়েটার শীতাতপ না থাকা অপারেশন থিয়েটারে অপরিচ্ছন্ন বর্জ্য উন্মুক্তভাবে রাখার দায়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ ও হাসপাতাল পরিচালনায় যথাযথ পরিবেশ না থাকায় ২ লাখ টাকা জরিমানাসহ সর্বমোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের ম্যানেজার সুলতান ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল বোর্ড এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক্স হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট এর মেডিকেল অফিসার ডা. দেওয়ান মো. মেহেদী হাসান ও ঔষধ অধিদফতরের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মুহিত ইসলাম ও র্যাবের কর্মকর্তারা।
র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিডিয়া প্রতিনিধিদের সামনে এ ব্যাপারে ব্রিফিংকালে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান পরিচালিত হবে। এ ছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থা বা পদ্ধতি সন্দেহভাজন হলে সে বিষয় খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন।
"