চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে তথ্য জানতে গিয়ে সাংবাদিক নাজেহাল
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার রিপোর্টার মোস্তফা ইউসুফকে নাজেহাল করেছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এক বিবৃতিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তার হাতে সাংবাদিককে নাজেহালের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ডিএফও মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম থেকে অপসারণ করার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।
সিইউজে থেকে পাঠানো বিবৃতিতে সিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ৭০ থেকে ৮০ বছরের পুরো সরকারি প্রায় তিনশ’টি গাছ বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিনা টেন্ডারে কেটে অর্থ লোপাট করছেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চক্র। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সরকারি গাছ উজাড় হলেও এই বন কর্মকর্তা বন খোকোদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিক মোস্তফা ইউসুফকে তার অফিসেই নাজেহাল করেন। বন ও পরিবেশমন্ত্রী এবং বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিষয়টি তদন্ত করে সাংবাদিক নাজেহালকারী ডিএফও মোজাম্মেলের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাকে চট্টগ্রাম থেকে বদলী করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক নাজেহালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
নাজেহালের শিকার সাংবাদিক মোস্তফা ইউসুফ জানান, রাঙ্গুনিয়ার সফরভাটা এলাকায় ৭০ থেকে ৮০ বছরের পুরণো বনে প্রচুর সরকারি গাছ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় তিনশ’টি বড় বড় গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে একটি চক্র। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই গাছ কাটা হচ্ছে নাকী বন খোকোরা গাছগুলো কেটছে তার তথ্য জানতে ডিএফও কার্যালয়ে যাই। তার কার্যালয়ে ঢুকার পর সফরভাটার গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। ডিএফও আমার সঙ্গে বাজেভাষায় কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে ডিএফও’র অফিস সহকারী এসে তিনিও অকথ্যভাষায় কথা বলতে থাকেন। তারা অফিস থেকে আমাকে জোর করে বের করে দেন। সরকারি গাছ কাটার তথ্য জানতে চাওয়ায় তারা আমাকে নাজেহাল করেছে।
"