খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক মাদরাসাছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে তিন বখাটেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো এক বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল বিকেলে খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা দায়রা জজ রতেœশর ভট্টাচার্যের আদালত এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন দীঘিনালা উপজেলার বড় মেরুং-এর বাসিন্দা মর্তুজ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (২১), একই গ্রামের বাসিন্দা ইছাক আলীর ছেলে মো. ইমন হোসেন (২০) ও আক্কাস আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (২৩)।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৮ জুন দীঘিনালা উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রীকে মুখ, হাত ও পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মোবাইলে ভিডিও করে রাখে এবং ঘটনা কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে ধর্ষিতার মা (খোরশেদা বেগম) বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ধর্ষিতার মা মামলার রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

"