বগুড়া প্রতিনিধি
সোনাতলায় চাঁদা না পেয়ে প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ২
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় হরিবাশর অনুষ্ঠান ভন্ডুল করে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় এলাকার লোকজন দুই সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটককৃতরা হলোÑ গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের সুখানপুকুর গ্রামের ছায়দালী আকন্দের ছেলে ঠান্ডু মিয়া (২৮) ও সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের নওদাবগা গ্রামের আবদুল হান্নান খানের ছেলে ডলার খান (৩৫)। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আটক দুই সন্ত্রাসীকে গত শুক্রবার সকালে সোনাতলা থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। স্থানীয়রা জানায়, সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের গ্রামকরমজা দাসপাড়া গ্রামের মন্দিরে চার প্রহর ব্যাপী হরিবাশর শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার রাতে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত পুণ্যার্থী অংশ নেন। হরিবাশরের অনুষ্ঠান শুরুর পর স্থানীয় সন্ত্রাসী ঠান্ডু মিয়ার (৩৮) নেতৃত্বে তিন থেকে চারজনের একদল সন্ত্রাসী গিয়ে কমিটির নিকট তিন হাজার টাকা দাবি করে। এতে মন্দির কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে রাজি না হলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হরিবাসরের মঞ্চ ভাঙতে শুরু করে। পরে সন্ত্রাসীরা মন্দিরে গিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করলে এলাকার লোকজন দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে। সোনাতলার গ্রামকরমজা পূজা ও হরিবাসর কমিটির সভাপতি টুকু দাস এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সবার আর্থিক সহযোগিতা থাকে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেই ওই সন্ত্রাসীরা নেশার জন্য টাকা পয়সা দাবি করে। আমরা যথাসাধ্য সবার কাছ থেকে কিছু কিছু অর্থ তাদের দেই। কিন্তু এবার তেমন টাকা সংগ্রহ করা হয়নি। তাই টাকা দিতে না চাওয়ায় হরিবাসর মঞ্চ ও প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার যৈন নতুন বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সোনাতলা থানায় একটি অভিযোগও করেছেন। এ ঘটনায় অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য তিনি প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন। বগুড়ার সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
"