চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৪ জুন, ২০১৯

ফাঁকা হচ্ছে বন্দরনগরী

দড়জায় কড়া নাড়ছে ঈদ। এরই মধ্য নগরী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ট্রেন, লঞ্চ, বাসসহ সর্বত্রই এখন মানুষের ভিড়। এরই মধ্য চট্টগ্রাম ছেড়েছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। সড়কে কমে এসেছে যানবাহনের সংখ্যা। নগরীর বাইরের সড়কে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি চলাচল করছে। তবে এখনো পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ফলে সর্বদা কোলাহলমুখর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এখন অনেকটাই ফাঁকা।

এদিকে এবারের ঈদের টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী ও সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া আজ মঙ্গলবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে বাড়ি ফিরতে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ছাদে উঠছে মানুষ। কেউ কেউ ব্যবহার করছে মইও।

শুধু ট্রেনে নয়, ভিড় বাস কাউন্টার ও লঞ্চঘাটে। ট্রেনের মতো লঞ্চ ও বাসেও যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। নৌপথে কোনো ধরনের সমস্যা না থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ডুবে যাওয়ার আতঙ্ক যেমন কাজ করে তেমনি সড়ক পথে বাস বা ট্রাকে চড়ে যারা যাতায়াত করছেন তাদের মধ্যেও কাজ করে সড়ক দুর্ঘটনার আতঙ্ক। এরপরও কিছুই যেন বাধা হয়ে দাড়াতে পারছে না। যে যেভাবে পাড়ছে ছুটছে।

রেল স্টেশনে অপেক্ষায় থাকা কয়েকজন যাত্রী জানায়, ট্রেনে সিডিউল কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এজন্য অপেক্ষায় আছি। কখন ট্রেন আসবে, বাড়ি যাব। অপেক্ষা আর সহ্য হয় না। কর্ণফুলী শাহ আমানত গোল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার জন্য শত শত মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে সাতটি উপজেলা ছাড়াও কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলার হাজার হাজার মানুষের প্রবেশপথ শাহ আমানত সেতু এলাকা। দেখা গেছে প্রতিটি কাউন্টারের সামনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের চোখেমুখে আনন্দের চাপ। কাউন্টারের বাইরেও অনেক লোকাল গাড়িতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নিয়ে গাড়ি ছাড়তে দেখা যায়।

মহিউদ্দিন মাহি নামে একজন জানান, আমার বাড়ি বদরখালী। সকালে বাড়ি পৌঁছাব। গাড়ির টিকিট করেছি, এখনো গাড়ি আসেনি। নাজমা আক্তার নামে একজন জানান, সংসারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীতে যাচ্ছি। এখনো গাড়ি পাইনি। আমার হাসবেন্ড টিকিটের জন্য গেছেন।

শ্যামলী সুপার প্রাইভেট লিমিটেড ইনচার্জ মো. শোয়েবুল করিম জানান, প্রচুর যাত্রী। ২০ মিনিট পর পর গাড়ি। কিন্তু অতিরিক্ত গাড়ির চাপে হয়তো ঠিকমতো আসতে পারছে না। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি যাত্রীরা যাতে কোন রকম হয়রানি না হয়। এদিকে ঈদে ফাঁকা নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। ঈদে গ্রামে ছুটে যাওয়া মানুষের বাসাবাড়ির নিরাপত্তা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নগর পুলিশ। মোবাইল টিম, টহল টিমসহ মোট চার হাজার পুলিশ নগর পাহারা দেবে। ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় দর্শণার্থীদের নিরাপত্তা, থানাভিত্তিক ঈদের নামাজের ভেন্যু তৈরি করে নিরাপত্তা ও ঈদে মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close