নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ এপ্রিল, ২০১৯

চীনের স্বীকৃতি পেল ২১৪ এমআরও ইউনিট

দেশেই তৈরি হবে উড়োজাহাজ

অগ্রগতিতে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। একসময় বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজগুলো মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ারিং ও ওভারহলিং (এমআরও) করতে বিদেশে পাঠানো হতো। খরচ হতো কোটি কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে দেশেই এমআরও হচ্ছে সেসব উড়োজাহাজের। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে উড়োজাহাজ তৈরিও হবে বাংলাদেশে। এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফল কার্যক্রমের জন্য বাহিনীর ২১৪ মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ারিং ও ওভারহলিং ইউনিটকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল চীনের জিলিন এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ২১৪ এমআরও ইউনিটকে সনদপত্র অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানান। সহযোগিতার জন্য তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপূরণে এই ২১৪ এমআরও ইউনিট ভবিষ্যতে বিমান তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান ওভারহলিং ইউনিট হিসেবে সনদ পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ও একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বিমানবাহিনীর অপারেশনাল কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সেনা ও নৌবাহিনী প্রধান, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধানরা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিমানবাহিনীতে যুদ্ধবিমান ওভারহলের কোনো কারখানা ছিল না। ফলে বিমানগুলোকে ওভারহলিংয়ের জন্য চীনে পাঠানো হতো। এতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হতো। এখন দেশে ওভারহলিং হচ্ছে। এছাড়া অপারেশনাল সক্ষমতার ক্ষেত্রেও একধাপ এগিয়ে গেল বিমান বাহিনী। আর তাই বিমানবাহিনীর ২১৪ এমআরও ইউনিটকে স্বীকৃতিস্বরূপ ওভারহল ইউনিট হিসেবে এ সনদপত্র দিল চীনের জিলিন এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বিমানবাহিনীকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর স্থাপিত হয় বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার (বিএসি)। এর অন্তর্গত ২১৪ এমআরও ইউনিটও একই সঙ্গে কার্যক্রম শুরু করে। চীনের জিলিন এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউনিটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন বিমানবাহিনীর প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ারা বিমান ওভারহল করতে পুরোপুরি সক্ষম। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিমানবাহিনীর টেকনিশিয়ানরা সফলভাবে ওভারহল করে প্রথম বিমানটি হস্তান্তর করে। বর্তমানে আরো তিনটি বিমান ওভারহল কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close