নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলায় সাইনবোর্ড না লেখায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বাংলায় সাইনবোর্ড না লেখায় রাজধানীর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ আহম্মেদের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় আজমপুর এলাকার পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, রহিমআফরোজ, সি শেল, বাটা এবং আখতার ফার্নিচার। এ সময় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে হাইকোর্টের আদেশটি ডিএনসিসি এলাকায় নিশ্চিত করার দায়িত্ব ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জানুয়ারি দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ডিএনসিসির এখতিয়ারাধীন এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার বাংলায় লেখা হয়নি তা অবিলম্বে নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে ৭ দিনের মধ্যে বাংলায় লিখে প্রতিস্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
এছাড়া মাইকিং, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠানোসহ ডিএনসিসির ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পাতায়ও গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। প্রায় সব কয়টি প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের আদেশ এবং ডিএনসিসির গণবিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়ন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার প্রত্যেকটি নামফলক, সাইনবোর্ড ইত্যাদিতে বাংলা ভাষা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।
"