ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৯ এপ্রিল, ২০২০

স্টোকসের কাছে সিংহাসন হারালেন কোহলি

বিশ্বকাপ জেতায় ২০১৯ সালটা সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। ১৪ জুলাই রুদ্ধশ্বাস সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে সেরা হন বেন স্টোকস। এরপর আগস্টে মহামর্যাদার অ্যাশেজ সিরিজের হেডিংলি টেস্টও জায়গা করে নেয় ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচগুলোর তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ১ উইকেটের সেই জয়ের ?মহানায়ক ছিলেন অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস খেলা স্টোকস।

মূলত এ দুই পারফরম্যান্স দিয়েই ২০১৯ সালে ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেনের শীর্ষ ক্রিকেটার হলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। কাল প্রকাশিত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের ১৫৭তম সংস্করণে গত বছরের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্টোকসকে। বর্ষসেরা হিসেবে জায়গা পাওয়া পাঁচ ক্রিকেটারÑ জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড), প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া), সাইমন হারমার (দক্ষিণ আফ্রিকা), এলিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া) ও মারনাস লাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া)।

এটি দিয়ে উইজডেনের শীর্ষ ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট কোহলির রাজত্বের ইতি টানলেন স্টোকস। আগের তিন সংস্করণে সেরা হয়েছিলেন ভারতের সর্বাধিনায়ক। গত ১৫ বছরের মধ্যে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এ মর্যাদা পেলেন স্টোকস। সবশেষ ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড থেকে উইজডেনের শীর্ষ ক্রিকেটার হয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। মজার ব্যাপার হলো ফ্লিনটফ-স্টোকস দুজনই অলরাউন্ডার।

উইজডেন অ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথ লিখেছেন, ‘মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেন স্টোকস জীবনের সেরা দুই পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। প্রথমটি প্রায় অস্বাভাবিক। ভাগ্যের সহায়তায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। এরপর অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট, যেটি হেডিংলিতে হয়েছে সেটিতে অপরাজিত ১৩৫ রান তুলে ইংল্যান্ডকে ১ উইকেটে জিতিয়েছেন। লাল কিংবা সাদা বল স্টোকস দুর্দান্ত, অসাধারণ।’

এ বছর নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা (লিডিং) হয়েছেন পেরি। গত বছরও খেতাবটা এই অজি অলরাউন্ডারের দখলে ছিল। টি-টোয়েন্টিতে লিডিং ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছেন ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল। গত বছরের মে মাসে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের পর আর্চারের উত্থান ঘটেছে উল্কার মতো। আন্তর্জাতিক অভিষেকের দুই মাসের মধ্যে বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারে বল করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। অ্যাশেজে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিয়েছেন ২২ উইকেট। ওই সিরিজেই ২৯ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। আর লাবুশেন স্টিভেন স্মিথের ‘কনকাশন বদলি’ হয়ে মাঠে নামার পর মেরেছেন টানা চার ফিফটি। এদিকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী এসেক্সের হয়ে ৮৩ উইকেট নিয়েছিলেন হারমার। মেয়েদের অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি রান ও উইকেট ছিল পেরির। নজরকাড়া পারফরম্যান্সের সুবাদে ক্রিকেটের বাইবেলে জায়গা হয়েছে তাদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close