ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২১ নভেম্বর, ২০১৯

গোলাপি টেস্টে সবুজ উইকেট

ভারত ভূমিতে গোলাপি বলে টেস্ট অভিষেক। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের অন্দর-বাইরে নতুন চুনকামের সুবাস। মাঠ ও মাঠের বাইরে গোলাপি আভাটাও পরিষ্কার। বোঝাই যাচ্ছে, নতুন ঘটনার সাক্ষী হতে পুরোপুরি প্রস্তুত ক্রিকেটের নন্দন কানন। তবে গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ হলেও ইডেনের ২২ গজে কিন্তু গোলাপি রঙের ছিটেফোঁটাও নেই! যা থাকছে তার পুরোটা জুড়েই শুধু সবুজের সমাহার। সময়ের পরিক্রমায় ইডেনের উইকেটের চরিত্রগুণ বদলেছে বেশ। ইদানীং এখানে বোলার-ব্যাটসম্যানরা প্রায় সমান সুযোগই পান। তবে আগামীকাল থেকে এই মাঠের অন্যরকম টেস্টে সম্ভবত যেকোনো সময়ের চেয়ে ঘাসের পরিমাণ একটু বেশিই থাকছে।

ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) চিফ কিউরেটর সুজন মুখার্জির মন্তব্যে সেই সম্ভাবনা পরিষ্কার, ‘ম্যাচটা হয়তো আলাদা। ভারতবর্ষে এই প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে ফ্লাডলাইটে টেস্ট ম্যাচ হবে। সেদিক থেকে এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা হবে। কিন্তু উইকেট প্রসঙ্গে যদি জানতে চাও, তবে বলব উইকেটের একই ধরনের চরিত্র বজায় রাখার চেষ্টা করব আমি।’

ইডেনে এখন দুরন্ত গতিতে বল আসে ব্যাটে। বল লাফিয়েও ওঠে বেশ। বাউন্ডারি ছোট হওয়ায় ব্যাটসম্যানরাও পায় সুবিধা। ম্যাচের বয়স যত বাড়ে, স্পিনাররাও এই উইকেট থেকে সুবিধা তুলে নেয়। গোলাপি টেস্টেও কি পিচের সেই চরিত্র বজায় থাকছে?

সুজন মুখার্জির ব্যাখ্যা, ‘আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সে ধরনের উইকেটই রাখার। সৌরভ গাঙ্গুলিরও তাই ইচ্ছে। ওরকম উইকেটই সে পছন্দ করেছে। আশা করি সেই ধরনের উইকেটই হবে ইডেনের টেস্টে এবারও। এর আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তাই পিচ প্রস্তুত করতে কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে আমার আশা আছে ম্যাচের আগে আমরা সেই চিরাচরিত ইডেনের উইকেটই পুরো তৈরি করতে পারব। নভেম্বরের শেষে টেস্ট। গঙ্গার ধারের শীতল হাওয়া বয়ে যাবে ইডেনের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। ফলে গোলাপি বলে বল একটু বেশি সুইং করবে।’

গোলাপি বলের রং স্থায়ী রাখার জন্য উইকেটে একটু বেশি লম্বা ঘাসের প্রয়োজন হয়। ইডেনে কি তাহলে ঘাসের পুরুত্ব বাড়ছে? বাস্তবতা মেনে নিলেন সুজন, ‘আমি সাধারণত ঘাস একই ধরনের রাখি। তবে পিঙ্ক বল সম্পর্কে আমি যা জেনেছি তাতে উইকেটে ঘাস একটু বেশি হলে ভালো। বলের সিম এবং স্থায়িত্ব অনেকক্ষণ ধরে থাকে।’

ইন্দোরে প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে আড়াই দিনেই হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে সুজনের চাওয়া কলকাতা টেস্টের স্থায়িত্ব যেন তার চেয়ে লম্বা হয়। ঐতিহাসিক টেস্টের প্রথম চার দিনের টিকিট নাকি শেষ! শুক্রবার ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়। শেষ রাত সাড়ে ৮টায়। তার মানে, ‘ডিউ ফ্যাক্টর’-এর ভয় থাকায় ঘাসে শিশির জেঁকে বসার আগেই হোটেলে ফিরবেন খেলোয়াড়রা!

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close