ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

সাকিবের বার্বাডোজ চ্যাম্পিয়ন

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে যাওয়ার পর থেকেই বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে তিনে ব্যাটিং করে আসছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে গতকাল ফাইনালে তিনে নামার সুযোগ পাননি বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের। অবশ্য পজিশন পরিবর্তন হলেও আরেকবার ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ সাকিব। সতীর্থ জোনাথান কার্টারের ভুলে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে এক চারে ১৫ বলে ১৫ রান করে।

দ্বিতীয় রান নেওয়ার জন্য ক্রিজের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছিলেন সাকিব। ওদিকে দৌড় দিয়েও পরে থেমে যান কার্টার। সতীর্থের এমন আচরণ সহ্য করতে পারেননি সাকিব। রাগ ঝাড়তে ঝাড়তে মাঠ ছেড়েছেন বাংলাদেশি তারকা। তবে ম্যাচে এই রাগটাকে আর পুষিয়ে রাখতে হয়নি। অপ্রতিরোধ্য গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে ২৭ রানে হারিয়ে যে সিপিএলের শিরোপা জিতেছে সাকিবের দলই।

সাকিবকে ভাগ্যবান হিসেবে দেখতেই পারে বার্বাডোজ! টাইগার অলরাউন্ডার খেলতে যাওয়ার আগে শেষ চারে ওঠা নিয়েই শঙ্কায় ছিল দলটি। সাকিব যোগ দেওয়ার পর নিয়মিত জিতে সেই দলটিই কি না চ্যাম্পিয়ন! এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিপিএল শিরোপার অংশীদার হলেন সাকিব।

গায়ানা ফাইনালের আগে চলতি আসরে একটা ম্যাচও হারেনি। অজেয় থেকেই ফাইনালে উঠেছিল শোয়েব মালিকের দল। একদিন আগে সাকিব বলেছিলেন, ‘গায়ানা এর আগেও একাধিকবার ফাইনালে হেরেছে। ফাইনালে হারা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে!’ সাকিবের সেই বাণী কাল সত্যি হয়ে ফললো।

সাকিবকে আউট করে দেওয়া কার্টার ও জনসন চার্লসের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বার্বাডোজ। কার্টার সাতে নেমে ২৭ বলে করেন ৫০ রান। চার্লস ২২ বলে করেন ৩৯।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলতে পেরেছে গায়ানা। দলটির হয়ে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ব্রান্ডন কিং। আগের দুই ম্যাচের মতো ফাইনালেও বল হাতে নিষ্প্রভ সাকিব। ২ ওভার বোলিং করে ১৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকলে পরে তার হাতে আর বল তুলে দেননি বার্বাডোজ দলনেতা জেসন হোল্ডার। ৯ ম্যাচে সর্বাধিক ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন বার্বাডোজের মার্কিন বোলার হেইডেন ওয়ালস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close