ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মুহূর্তেই ফাঁকা সাগরিকার গ্যালারি!

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ লাল-সবুজের জার্সি পরে, কেউ পতাকা হাতে ঢাকঢোল বাজিয়ে সমাবেত হয়েছিলেন সাগরিকার গ্যালারিতে। টাইগার ভক্তদের সংখ্যা যদিও আহামরি ছিল না। কিন্তু তারপরও টেস্ট ক্রিকেট বিবেচনায় নেহাতই কম নয়। হাজার তিনেক দর্শক স্টেডিয়ামের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের গ্যালারিটা ভরে তুলেছিলেন। সাদা পোশাকে এমন উপস্থিতি মিরপুর শেরেবাংলায় তো খুব একটা দেখাই যায় না। ভক্ত-সমর্থক-অনুরাগীদের আসাটাও স্বার্থক হয়েছিল। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই তাইজুল-সাকিবরা আফগানদের গুটিয়ে দিয়েছেন ৩৪২ রানে। প্রথম দিনের ২৭১ রানের সঙ্গে রশিদ খানদের আর ৭১ রান যোগ করার সুযোগ দিয়েছিলেন সাকিবরা। বাকি ছিল দিনের দুটি সেশনেরও বেশি। বলতে গেলে প্রায় পুরো দিনই। যেখানে সাকিব, মুশফিকদের ব্যাটিং শৈলী দেখার দারুণ সুযোগ ছিল। তাতে বন্দর নগরীর দর্শকদের পয়সাও উসুল হতো। কিন্তু হায়! সেটা আর হলো কোথায়? দ্বিতীয় সেশেনে চা বিরতির আগে বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফেরায় দর্শকরা খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। চলে গেলেন মাঠ ছেড়ে।

কেনই বা যাবেন না? টেস্টে মাত্রই জন্ম নেওয়া আফগানিস্তানের সঙ্গে যে হতশ্রী ব্যাটিংটা করল বাংলাদেশ, তাতে ভরদুপুরে মাঠে থেকে লাভ কী? একটা সময় ১০৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক শিবির পড়েছিল ফলোঅনের শঙ্কায়। তবে ত্রাতার ভূমিকায় মুমিনুল হক উপনীত হওয়ায় সেই শঙ্কা দূরীভূত হয়েছে। কিন্তু অদূরদর্শী ব্যাটিংয়ে দিন শেষে আফগানদের থেকে যোজন যোজন পিছিয়েই ছিল রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close