ক্রীড়া ডেস্ক

  ৩১ অক্টোবর, ২০১৮

বোমা ফাটালেন রোনালদো

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৯ বছরের সম্পর্কচ্ছেদ করেছে এক নিমিষেই। গত জুলাইয়ে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পাড়ি জমিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। শুধু কী টাকার জন্য, নাকি ভেতরে অন্য কোনো কারণ? রোনালদো রিয়াল ছাড়ার পর এমন প্রশ্ন ছিল ভক্ত-সমর্থকদের মনে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, কোচ জিনেদিন জিদান দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়াতেই রিয়ালে থাকতে চাননি রোনালদো। আবার এমন খবরও বেরিয়েছিল, রিয়ালই নাকি রাখতে চায়নি বুড়িয়ে যাওয়া পর্তুগিজ উইঙ্গারকে।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়ার আসল কারণ এবার নিজেই জানালেন রোনালদো। সম্পর্কচ্ছেদের জন্য ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনা পেরেজের আচরণকে দায়ী করছেন সিআর সেভেন।

রিয়ালের হয়ে রোনালদোর সাফল্যের হিসাব করাটাই যেন বোকামি। ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। তার সময়ে ১৫টি বড় ট্রফি জিতেছে রিয়াল। জিতেছে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি লা লিগা শিরোপা। ঈর্ষণীয় এই সাফল্যের পরও রিয়ালে শেষ সময়টায় কদর পাননি ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো। বরং ক্লাব ও তার প্রেসিডেন্টের আচরণে কষ্টই বেড়েছে পর্তুগিজ যুবরাজের।

পেরেজকে নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘তিনি শুধু আমার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কটাই দেখতেন। আমিও সেটা জানতাম। তিনি আমাকে যা বলতেন, কখনোই মন থেকে নয়। প্রথম চার-পাঁচ বছর, আমার মধ্যে ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো’ অনুভূতিটা ছিল। পরে সেটা কমে যায়। প্রেসিডেন্ট যখন আমার দিকে তাকাতেন, আমি সেই জিনিসটা আর পেতাম না। মনে হতো আমি তাদের কাছে আর অপরিহার্য নই। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কী বলছি।’

এমন অবহেলার কারণেই রিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন রোনালদো। শুধু টাকার জন্য নয়। পর্তুগিজ তারকার ভাষায়, ‘যদি আমি টাকার জন্যই ক্লাব ছাড়তাম, তবে চীনে যেতাম। সেখানে এর চেয়ে (জুভেন্টাস) বা রিয়ালের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি আয় করতে পারতাম। আমি জুভেন্টাসে টাকার জন্য আসিনি। বেশি না হলেও মাদ্রিদে আমি সমান টাকাই পেতাম। পার্থক্য হলো জুভেন্টাস আমাকে সত্যিই চেয়েছিল। তারা আমাকে সেটা পরিষ্কার করেই বলে। তারা আমাকে সেটা দেখিয়েছেও।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close