ক্রীড়া ডেস্ক
রিয়ালকে আশা দেখাচ্ছে উয়েফা
রিয়াল মাদ্রিদ এখনো নেইমারের পিছু ছাড়েনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর শূন্যতা পূরণে এখনো নেইমারকেই দলে ভেড়াতে চায় ক্লাবটি।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জনটা উঠেছিল। এত বড় তারকার শূন্যস্থান কোন তারকাকে দিয়ে পূরণ করবে রিয়াল মাদ্রিদ? নেইমারের নাম উচ্চারিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মাঝপথে এই ব্রাজিলিয়ানকে ঘিরে গুঞ্জনটা থেমে গেলেও রিয়াল কিন্তু দলবদলের বাজারে বড় কোনো তারকা কেনেনি। উয়েফা সুপার কাপে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে রিয়ালের বড় হারের পর সমর্থকদের মধ্যে বড় তারকা কেনার দাবি জোরালো হয়। এমন পরিস্থিতিতে আবারও ফিরে এলো নেইমার প্রসঙ্গ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, রিয়াল নাকি নেইমারকে কিনতে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করত।
স্প্যানিশ ফুটবলে দলবদলের বাজার শেষ হতে দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। কিন্তু রোনালদোর শূন্যস্থান পূরণে রিয়াল এখনো কোনো সমাধান বের করতে পারেনি। ‘স্পোর্ত’ জানিয়েছে, রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর তাই অবিশ্বাস্য অঙ্কটা (৩০০ মিলিয়ন ইউরো) খরচ করেই নেইমারকে কিনতে চান তিনি। পিএসজির নেইমারকে বেচার কোনো আগ্রহ নেই। টাকা দিয়ে আরব শেখদের ক্লাবটিকে গলানোও যাবে না। রিয়ালের একমাত্র আশা, উয়েফা যদি পিএসজিকে শাস্তি দেয়।
তবেই পিএসজির আয়-ব্যয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে উয়েফা। ফ্রান্সের ক্লাবটির দেখানো স্পন্সর চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা। উয়েফার মনে হয়েছে, অন্য ক্লাবগুলোর স্পন্সর চুক্তির তুলনায় পিএসজির স্পন্সর চুক্তির বাজারদর দ্বিগুণ, কিছু ক্ষেত্রে তিন গুণ। যেটি আপাতদৃষ্টিতে অস্বাভাবিক। এ ছাড়া কাতারি ব্যাংকের কাছ থেকে তারা যে অর্থ পেয়েছে, সেটিও পুনর্মূল্যায়ন করছে উয়েফা। সংস্থাটির ধারণা, স্পন্সর চুক্তিতে গোপন কোনো অংশ ব্যাংক হিসাবে আছে।
এসব নিয়ে উয়েফার আপিল কমিটি রায় দেবে এ মাসের শেষ নাগাদ। পিএসজি মনে করছে, তারা কোনো আইন লঙ্ঘন করেনি। তবে যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারেও ক্লাবটি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। পেরেজ ঠিক এই নিষেধাজ্ঞার সুযোগটাই নিতে চান বলে জানিয়েছে ‘স্পোর্ত’। উয়েফা পিএসজির বিপক্ষে রায় দিলেই পেরেজ ৩০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে নেইমারকে কিনে নেবেন বলে জানিয়েছে এই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। এবারের দলবদলের বাজারে রিয়ালের এখনো কোনো ‘সুপারস্টার’ না কেনার এটাও একটা কারণ। রিয়াল বাজেট ধরে রাখতে চায়। যদি শেষ মুহূর্তে হলেও নেইমারকে পাওয়া যায়।
"