নিজস্ব প্রতিবেদক
‘লুটপাট হতে পারে হরিলুট নয়’
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, বন্যা-পরবর্তী সংস্কারকাজ নিয়ে লুটপাট হতে পারে, তবে হরিলুট হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
ওই অনুষ্ঠানে বন্যার কারণে দেশের বেশির ভাগ এলাকার সড়ক ও বেড়িবাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে-এমন তথ্য তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও বাঁধ মেরামতে হরিলুট হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারকে সাবধান হতে হবে। এসব সংস্কারকাজে সংসদ সদস্যদের দূরে রাখতে হবে। স্থানীয় জনগণকে কাছে রাখতে হবে ও সম্পৃক্ত করতে হবে।
আইনুন নিশাতের এসব অভিযোগের জবাবে সংলাপে উপস্থিত পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘বন্যা-পরবর্তী সংস্কারকাজ নিয়ে লুটপাট হতে পারে, তবে হরিলুট হবে বলে আমি মনে করি না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজে কোনো দুর্নীতি হয় না-এমন কথা আমি বলব না। কিন্তু দুর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়েছে, এটা আমি মানতে রাজি না।’
মন্ত্রী বলেন, মূলত বাংলাদেশের উজানে স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহতম বৃষ্টি হওয়ায় বন্যার পানি বাঁধ উপচে মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করেছে। হাওরে বাঁধ উপচে পানি ঢোকার পাশাপাশি ৫০০টি স্থানে কৃষক বাঁধ কেটে দেওয়ায় সেখান দিয়েও পানি ঢুকেছে। আর দিনাজপুরে বাঁধের ওপর একটি ফুলগাছ ছিল। সেটি ভেঙে গিয়ে ওই ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে বন্যা হয়েছে। দেশের অনেক এলাকায় ইঁদুর এসে বাঁধ ফুটো করে দেওয়ায় সেখান দিয়ে পানি ঢুকেছে।
সংলাপে বক্তব্য দেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু। সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বিশেষ ফেলো এম আসাদুজ্জামান।
"