আরিফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম
ঘর পাচ্ছে মরিয়ম ও আতিকুল
রাজধানীর বনশ্রীতে নিহত গৃহকর্মী লাইলীর দুই শিশু সন্তান মরিয়ম ও আতিকুলকে ঘর দেবে সরকার। আবাসন প্রকল্প-২-এর আওতায় তাদের জন্য একটি ঘর বরাদ্দের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবেন্দ্র নাথ ওরাঁও।
ইউএনও জানান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের নির্দেশে মা-হারা ওই দুই শিশুর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিশু দুটির বাবা ভারতের কারাগারে বন্দি থাকায় তাদের আইনানুগ অভিভাবকের মাধ্যমে ঘর দেওয়া হবে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, ‘এতিম ওই শিশুদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহায়তা করা হবে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সে ধরনেরই নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি ওদের কোনো সমস্যা হবে না।’
এদিকে লাইলীর দুই শিশু সন্তান মরিয়ম ও আতিকুলকে নতুন পোশাক ও খাবার দিয়েছেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্রনাথ ওরাঁও। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় নিহত লাইলীর বাবার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে লাইলীর দুই শিশু সন্তানকে নতুন জামা পরিয়ে দেন ইউএনও। দেবেন্দ্রনাথ ওরাঁও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিশু দুটির জন্য পোশাক ও খাবার নিয়ে গিয়েছি। ওদের জন্য খুব মায়া হয়। বারবার ওদের কথা মনে পড়ছিল। সে জন্য দুই ভাইবোনের জন্য কিছু খাবার ও নতুন পোশাক দিয়ে এসেছি।’ এ সময় নিহত লাইলীর বাবা-মাসহ দাসিয়ারছড়ার স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনশ্রী জি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ি থেকে লাইলীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাইলীর স্বজনদের দাবি-পাওনা টাকা চাওয়ায় বাড়িওয়ালা লাইলীকে হত্যা করেছে। ওই দিন রাতেই লাইলীর ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় গৃহকর্তা মুন্সী মাইন উদ্দিন, তার স্ত্রী শাহানা বেগম, কেয়ারটেকার তোফাজ্জল হোসেন টিপুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। গৃহকর্তা, তার স্ত্রী ও কেয়ারটেকার গ্রেফতারের পর এখন কারাগারে আছেন।
"