বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছাত্রনেতা সানি হত্যা
নিম্ন আদালতের মৃত্যুদন্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল
রাজশাহী পলিটেনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রমৈত্রীর তৎকালীন সহসভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে দেওয়া মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত দুই আসামির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ আদেশ রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে গত ৮ জানুয়ারি হয়েছে বলে প্রতিদিনের সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এন্তাজুল হক বাবু। তবে এ মামলায় ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি আবদুল মতিনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
পিপি বাবু বলেন, ২০১২ সালের ১৬ মে প্রদত্ত রায়ে রাজশাহী পলিটেনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রমৈত্রীর সহসভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি হত্যা মামলার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া এই মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং তিনজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড সহ সব আসামিকে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। আর তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলো পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদ্দাম হোসেন ওরফে তুষার। মৃত্যুদন্ড ছাড়াও উভয়কে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদানের আদেশ দেন বিচারক।
এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো অহেদুজ্জামান ওরফে বাবু, মেজবাউর রহিম ওরফে সুমন, জাহিদুল ইসলাম ওরফে মানিক ও কৌশিকুর রহমান ওরফে অনিক। এদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অর্থ অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে রায়ের এ আদেশও হাইকোর্টে বহাল রয়েছে। তবে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামি মখলেছুর রহমান ওরফে রোকনের সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অর্থ অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদ-াদেশ দিয়েছেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানির ওপর হামলা চালায়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় সানিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সানির বাবা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
"