হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বখাটের ঘরে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর লাশ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বখাটের হাতে খুন হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম সুলতানা তুহিন (১৩)। গত রোববার রাতে হত্যার অভিযোগে বখাটে মুন্নাকে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তুহিনের গলিত লাশ। তিন দিন আগে তুহিনকে হত্যা করে লাশ গুম করে তার বাড়িতে রাখে মুন্না। এই বাড়ির নিচতলা থাকে তুহিনরা আর চারতলায় থাকে মুন্নার পরিবার।

এদিকে হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। গতকাল সোমবার প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সামনে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল। মুন্না ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা। তাছাড়া এলাকায় যারা মাদক সেবন ও বিক্রি করছে, চিহ্নিত এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

তুহিনের নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাটহাজারী গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও হাটহাজারী পার্বতী সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়, হাটহাজারী সরকারি কলেজ, হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেয়। প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সময় যোগ দেন উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।

এদিকে মুন্নাকে হাটহাজারী মডেল থানা থেকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তুহিনের ভাই আকিব জাবেদ বাদী হয়ে মুন্না, তার বাবা পল্লী চিকিৎসক মো. শাহজাহান এবং মা নিগার সুলতানার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মামলা করেছেন। সোমবার উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নে গ্রামের বাড়িতে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তুহিনের লাশ। বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিবিআইয়ের একটি টিম। পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পিবিআই টিম ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। জানতে চাইলে পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক জানান, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে আমরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছি।

স্থানীয়রা জানান, চিহ্নিত একটি মাদকসেবী গ্রুপ নিয়ে এলাকায় আড্ডা দেয় মুন্না। প্রকাশ্যে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করত। এলাকার ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন ধরে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের নাম ব্যবহার করায় মুখ বুজে সহ্য করত তারা। তুহিনকে হত্যার পর এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close