আদালত প্রতিবেদক
জয়কে হত্যাচেষ্টা
শফিক-মাহমুদুরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারে পরোয়ানা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারি মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
এ মামলায় মাহমুদুর রহমান জামিনে থেকে আদালতে হাজির ছিলেন। শফিক রেহমান চার্জশিট আমলে না নেওয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট দাখিলের পরে নতুন করে জামিন না নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার অপর তিন আসামি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া মামলার প্রথম থেকেই পলাতক। আগামী ৫ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) এই অভিযোগপত্রটি দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা (আসামি) রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্র হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন।
এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ‘সন্ত্রাসের জনক ও আমদানিকারক’ মন্তব্য করে বক্তব্য দেওয়ায় আমার দেশ পত্রিকার (বর্তমানে বন্ধ) ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী বেলা ১১টার দিকে মামলাটির শুনানি গ্রহণ করে আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী নিজে ও তার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১ মার্চ বগুড়ার একটি হোটেলে সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মাহমুদুর রহমান মন্তব্য করে বলেন ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসের আমদানিকারক বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আমার যারা বয়সে প্রবীণ তারা জানি বাংলাদেশে সন্ত্রাসের জনকের নাম হচ্ছে হাসানুল হক ইনু।’
বাদীর অভিযোগ আসামির বক্তব্য ইউটিউবে প্রচারিত হওয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তার মানহানি ঘটেছে। এজন্য তিনি ১ হাজার কোটি টাকার মানহানিকর মামলা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
"