আশুলিয়া প্রতিনিধি
আশুলিয়ায় গার্মেন্টকর্মীকে গণধর্ষণ : প্রেমিক আটক
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় গার্মেন্টকর্মী এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক রাসেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তুহিন আহম্মেদ নামে এক শ্রমিক নেতাকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টকর্মী বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা জোছনা খাতুন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী বাজার এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় ওই গার্মেন্টকর্মীকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি আশুলিয়া থানায় জানানো হলে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক প্রেমিক রাসেল মিয়া বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার কামালপুর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। সে গাজীপুর জেলার পা?নিশাইল এলাকার আলমাস মিয়ার বাসায় ভাড়া থাক?ত। এছাড়া আটকের পর ছেড়ে দেওয়া অপরজন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন আহম্মেদ।
থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী গার্মেন্টকর্মী আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় বাবা-মা ও ছোট এক বোনের সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। শুক্রবার বকেয়া বেতন উত্তোলনের জন্য আশুলিয়ার শিমুলতলা এলাকায় যান তিনি। এ সময় পূর্ব পরি?চিত রা?সেল ও আলম তা?কে ঘুর?তে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে জিরানী বাজার এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ ক?রে। এরপর তারা তরুণীকে অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গেলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ধর্ষিত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় ঢাকা মে?ডি?ক্যাল ক?লেজ হাসপাতা?লের গাইনি বিভাগের ২০২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী গার্মেন্টকর্মীকে উদ্ধারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রেমিক রাসেলকে চন্দ্রা থেকে ও শ্রমিক নেতা তুহিন আহম্মেদকে আশুলিয়া থেকে আটক করে জিজ্ঞাবাদ করে পুলিশ।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা প্রেমিক রাসেলকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
"