reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

চিকিৎসাসেবার মান বাড়বে

সুখবর তো আর মুড়ি-মুড়কি নয় যে হাত বাড়ালেই তা পাওয়া যাবে। চারপাশে যা কিছু দেখি, তার বেশির ভাগই ‘সু’ নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সর্বকালে সব সময় একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেছে এবং এখনো করছে। সুখের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে কদাচিৎ। কদাচিৎ হয় এবং হবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা সুখ কখনোই হেঁটে এসে দরোজায় কড়া নাড়ে না। অতীতেও নাড়েনি। সুখ পেতে হলে একে তৈরি করতে হয়। যারা তৈরি করতে জানেন এবং পারেন, সেখানেই সুখ তার বাসস্থান গড়ে তোলে।

অনেক দিন পর সামষ্টিকভাবে এ দেশের মানুষ এ রকম একটি সুখবরের সাক্ষাৎ পেতে যাচ্ছে। বিশেষ করে হৃদরোগীদের জন্য খবরটি অনেক বেশি আনন্দের। এত দিন চিকিৎসাসেবায় আমরা অনেক বেশি অবহেলিত থেকেছি। তবে হৃদরোগের ক্ষেত্রে এই অবহেলার দিন যেন শেষ হতে চলেছে। বদলে যাচ্ছে হৃদরোগ হাসপাতাল। দেশেই হৃদরোগের চিকিৎসা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। একমাত্র সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালের সেবার গুণগত মান বাড়ানো হচ্ছে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাধারণ শয্যা, কেবিন, আইসিইউ, সিসিইউ, ক্যাথল্যাব এবং ওটি কমপ্লেক্স সুবিধা দুই থেকে তিন গুণ বাড়ানো হচ্ছে। সেবার পরিধিও বাড়ছে কয়েক গুণ। পাশাপাশি চিকিৎসকের সংখ্যা এবং অন্য লোকবলও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে সর্বনিম্ন ব্যয়ে সাধারণ মানুষ আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবে।

বর্তমানে অনুমোদিত শয্যাসংখ্যা ৪১৪টি। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ৯৫০ থেকে ১ হাজার রোগী ভর্তি থাকে। এ ছাড়া বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে কয়েক হাজার রোগী সেবা নেয়। হাসপাতালে অবকাঠামোগত ও অন্যা সুবিধা অপর্যাপ্ত হওয়ায় এসব রোগীকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সেবা নিতে হয়। তবে এই হাসপাতালকে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় চিকিৎসাসেবার মান যে একটি বিশেষ পর্যায়ে উন্নীত হবে, সে ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই গরিব রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওষুধের জোগান সেবাব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

এ দেশের সরকারি হাসপাতালে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্তও বটে। সিসিইউ-১ ও সিসিইউ-২-এর রোগীদের সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের স্ট্রেপটোকাইনেজ ইনজেকশন বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো বা সুখবর। খরবটি বাতাসে উড়তে উড়তে আমাদের দরোজায় এসে টোকা দেয়নি। এই খবরটিকে নির্মাণ করতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের পরিচালক এবং তার সহকর্মীরা তাদের সততা, মেধা ও শ্রম দিয়ে এটি নির্মাণ করেছেন। আমরা মনে করি, পরিচালক ডা. আফজালুর রহমানের মতো দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা যদি তাদের সততা, মেধা ও শ্রমকে ব্যবহার করেন, তাহলে দেশের সব প্রতিষ্ঠানের মান আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে পারে, যা দেশের প্রতিটি মানুষেরই প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close