ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে একটি বিশেষ লেকচার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ ফাউন্ডেশন ডে ট্রাস্ট ফান্ড’-এর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর মিজ মিয়া সেপ্পো ‘ফাউন্ডেশন ডে লেকচার’ প্রদান করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মন। এ ছাড়া বিভাগীয় চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এবং চমৎকার ও সময়োপযোগী লেকচার প্রদানের জন্য মিজ মিয়া সেপ্পোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহিংসতা, সংঘর্ষ, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশ সব সময়ে জাতিসংঘের সহযোগিতা পেয়ে আসছে উল্লেখ করে উপাচার্য রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায়ও তাদের কার্যকরী সহযোগিতা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো তার বক্তব্যে সহিংসতা, সংঘর্ষ, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা, প্রতিশ্রুতি ও কার্যকরী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন আলোচনাপর্ব শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক শান্তি র‌্যালি বের করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"