সাদার্ন ইউনিভার্সিটি প্রেসের উদ্যোগে প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ প্রণীত ‘চট্টগ্রাম নগরীর পরিকল্পিত উন্নয়ন : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ২৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সাদার্ন প্রেসের প্রকাশক ও সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল আলম, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা, রমিজ উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনরা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব সংগ্রামের সূচনা ছিল এই চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম দুই হাজার বছরের একটি ঐতিহ্যসমৃদ্ধ শহর হলেও সেভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সরকার বা সংশ্লিষ্টদের বুঝতে হবে চট্টগ্রামের সমস্যা মানে সামগ্রিক সমস্যা।

নানাভাবে চট্টগ্রামকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামকে অবহেলিত রেখে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তোলা সম্ভব নয়। অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ তার অভিজ্ঞতা ও পুরকৌশলের দৃষ্টিকোণ থেকে বইটি লিখেছেন। নিজের দায়িত্ববোধ থেকে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য তার এ প্রচেষ্টা।

তিনি বইয়ে চট্টগ্রামকে নিয়ে হতাশার কথাও বলেছেন, আবার পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে সম্ভাবনার কথাও বলেছেন। এখানে তার নির্বাচিত ২৭টি লেখা ও সাক্ষাৎকার রয়েছে। গ্রন্থের নিবন্ধসমূহ হচ্ছে চট্টগ্রামের উন্নয়ন, নগর পরিকল্পনা, অবকাঠামো, পরিবহন, জলাবদ্ধতা, পাহাড় কাটা, পাহাড়ধস, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংকট ও পরিবেশ দূষণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পর্যটন, পাবলিক টয়লেট, পোস্টার সংস্কৃতিসহ অনেক।

বক্তারা আরো বলেন, একটি পরিকল্পিত নগরীতে ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকা প্রয়োজন কিন্তু আমাদের এই শহরে মনে হয় না ৫ শতাংশের বেশি আছে। বিশ্বের অনেক নামকরা শহরে একসময় যানজট ছিল, তবে পরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে তারা সফলতা পেয়েছে। চট্টগ্রামকে নিয়ে মাস্টারপ্ল্যানের কথা অনেক শুনেছি কিন্তু বাস্তবতা নেই। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের সচেতন হওয়া। এ বইয়ে অধ্যাপক আলী আশরাফ তার জ্ঞান ও বিচার বুদ্ধি দিয়ে উন্নয়নের সমস্যা ও তার সম্ভাবনার কথা বিশ্লেষণ করে পুরো জাতিকে পরিকল্পিত পথে সুশৃঙ্খলভাবে অগ্রসর হওয়ার জন্য তাড়িত করার চেষ্টা করেছেন।

সমাপনী বক্তব্যে বইয়ের প্রকাশক প্রফেসর সরওয়ার জাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে গবেষণার মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। আমরা বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করতে পারি, তবে সচেতনার ব্যাপারটা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আসতে হবে। এ সময় তিনি বই পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"