কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নবীনবরণে বক্তারা
চবি একসময় মুক্তচিন্তার জন্য নিরাপদ ছিল না
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অন্তর্গত বিভাগ ও ইনস্টিটিউটসমূহে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তীকৃত শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠান চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ (ড. আবদুল করিম ভবন) প্রাঙ্গণে ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি থেকে ভাষণ দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এবং অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
ইউজিসি চেয়ারম্যান তার ভাষণে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবন এবং উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকালীন সময়কে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় মুক্তচিন্তার শিক্ষা-শিক্ষার্থীদের পথ চলা মোটেও নিরাপদ ছিল না, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে আমাদের নবীন শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে এ সত্যতা হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, একজন বঙ্গবন্ধুর একটি আঙুলের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সর্বোপরি ত্রিশল ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করেছেন, দুই লাখ মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
উপাচার্য তার ভাষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সূচনাপাঠ ঐতিহ্যবাহী কলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে শুভেচ্ছা, স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সমাজ-সভ্যতার ইতিহাস-ঐতিহ্য আলোকপাত করে বলেন, বাংলা নামক এ জনপদে তিন হাজার বছরের ইতিহাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম স্বাধীন বাঙালি রাষ্ট্রনায়ক। তাই তিনি বলেন, আজকের এ নবীন বরণ শুধু উৎসব নয়, শিক্ষা দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজ, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ, শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট মাইনুল হাসান চৌধুরী, প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী, ছাত্রছাত্রী নির্দেশনা ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. আহমদ সালাউদ্দিন এবং ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক উপকমিটির আহ্বায়ক ও সংগীত বিভাগের সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্য। নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ফৌজিয়া ইউসুফ। অনুষ্ঠানে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও পরিচালক, শিক্ষকরা এবং বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাছুম আহমেদ ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আয়োজনে ছিল সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক, গীতিআলেখ্য, কবিগান ও ব্যান্ডসংগীত। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"