আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত সামরিক বাজেট ৭০০ বিলিয়ন ডলারের
বৃহৎ ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়তে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা নীতি পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট।
ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট ফর ফিসকাল ইয়ার ২০১৮ (এনডিএএ) নামের বিলটি গত সোমবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে ৮৯-৮ ভোটে পাস হয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে। সাধারণত এই বিলের মাধ্যমেই সামরিক ব্যয়ের মাত্রা এবং কীভাবে তা ব্যয় হবে তা ঠিক করা হয়।
সিনেটে পাস হওয়া বিলে পেন্টাগনকে অস্ত্র কেনা এবং বাহিনী সদস্যদের বেতনসহ প্রধান কার্যক্রমগুলোর জন্য ৬৪০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাকি ৬০ বিলিয়ন আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য যুদ্ধ ক্ষেত্রে খরচ করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বেতন দুই দশমিক এক শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি এক হাজার ২১৫ পৃষ্ঠার এই বিলে নানা বিষয়ে বিস্তৃত বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মস্কোভিত্তিক ক্যাসপারস্কি ল্যাবের পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
জুলাইয়ে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভেও বিলটির একটি সংস্করণ অনুমোদিত হয়েছিল। দুই সংস্করণ মিলিয়ে পরে চূড়ান্ত আইন করা হবে।
রয়টার্স বলছে, বছরের শেষে চূড়ান্ত আইন করার সময় সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আইনপ্রণেতারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
বেসামরিক বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয়ের ক্ষেত্রে থাকা বাধা অপসারণ না হলে সামরিক খাতে বিপুল ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডেমোক্রেটরা।
গত বছর পাস হওয়া এনডিএএ বিলে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬১৯ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল; যার তুলনায় এ বছরের প্রস্তাব অনেক বেশি। এই প্রস্তাব ২০১১ সালে করা বাজেট কন্ট্রোল অ্যাক্টে সামরিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করে দেওয়া মাত্রার পরিপন্থি। ট্রাম্প বেসামরিক খাতে কমিয়ে পেন্টাগনের জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ চাইছেন। তার দলই কংগ্রেসের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ; তবু আইন বদলে পেন্টাগনের জন্য বেশি ব্যয় চাইলে ট্রাম্পকে ডেমোক্রেটদের সমর্থনও জোগাড় করতে হবে।
৫৫ বছর ধরে একটানা পাস হওয়া এনডিএ বিলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ট্রাম্পের নিজেরও সমালোচনা আছে, যদিও বিলে ভেটো দেওয়ার হুমকি দেননি তিনি।
এদিকে, সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ উভয় কক্ষেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের একটি প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স; ওই প্রস্তাবে ম্যাটিস ২০২১ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকা আরো মার্কিন ঘাঁটি বন্ধের সুপারিশ করেছিলেন।
"