আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

পেঁয়াজে ‘কমছে’ মোদির ভোট

ভারতে কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ ও আলুর দাম দ্রুত কমতে থাকায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় কৃষকরা বলছেন, আগামী বছর দেশটির জাতীয় নির্বাচনে এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মূল্য দিতে হবে। গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অতীতেও দেশটিতে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার কারণে নির্বাচনে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের দেশ ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির বেশির ভাগ মানুষের বাস গ্রামে।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ভারতজুড়ে শতাধিক কৃষকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ওই সাক্ষাৎকারে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে (বিজেপি) বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অসন্তোষ ফুটে উঠেছে। তারা বলেন, বিজেপি সরকার গ্রামের মানুষদের আয় বাড়াতে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় মহারাষ্ট্রে।

মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি মধুকর নাগরে বলেন, আগামী কয়েক মাসে তারা যাই করুক আমি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেব। আমি ২০১৪ সালে করা ভুলের পুনরাবৃত্তি করব না। ১৯৯৮ সালেও পেঁয়াজের দামের অস্বাভাবিক পতনের কারণে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিল বিজেপি।

গত কয়েক সপ্তাহে কৃষকরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ এক রুপিরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে তাদের আট রুপির বেশি খরচ হয়েছে। অস্বাভাবিক মূল্য হ্রাসের প্রতিবাদে কৃষকরা রাস্তায় টন টন পেঁয়াজ ঢেলে মহাসড়ক অবরোধ করছে। যদিও পেঁয়াজের এই মূল্য হ্রাসের সুবিধা ভোক্তারা তেমন একটা পাচ্ছে না। বরং মধ্যস্বত্বভোগীরাই সব লাভ নিয়ে যাচ্ছে।

গত মৌসুমে উৎপন্ন পেঁয়াজ এখনো বাজারে থাকায় এবং মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেওয়াই দাম পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশে আলু চাষিদের একই সংকটে পড়তে হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির জয়ে উত্তর প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের অধিকাংশ ভোটার গ্রামে বাস করে। ভারতের পার্লামেন্টে ৫৪৫ সদস্যের নিম্নকক্ষের ১২৮ জন এই দুই রাজ্য থেকে নির্বাচিত হন।

সে ক্ষেত্রে এই দুই রাজ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লে আগামী বছর মে মাসের জাতীয় নির্বাচনে ‘হারের মুখে পড়তে পারে’ মোদির দল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close