আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

পাকিস্তানে শীর্ষ তালেবান নেতাকে মুক্তি

তালেবানের সেকেন্ড ইন কমান্ড মোল্লাহ আবদুল ঘানি বারাদারকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। আট বছর আগে করাচিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত হয় আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। দীর্ঘ ১৭ বছরের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে সম্প্রতি কাতারে ওয়াশিংটন ও তালেবান প্রতিনিধিদের আলোচনায় আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হওয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে। আলোচনা অব্যাহত থাকলেও বিগত কয়েক মাসে আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সরকারের ওপর হামলা জোরালো করেছে তালেবান।

বিবিসি জানায়, আবদুল ঘানির মুক্তি দেওয়া শান্তি আলোচনার অংশ হতে পারে। তালেবানের এক সূত্র জানায়, ‘অসুস্থতার কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আদতে শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রাখতে চাইছে পাকিস্তান। আবদুল ঘানি সুস্থ আছেন এবং তিনি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে এর আগে আরো দুই শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দিয়েছিল পাকিস্তান। দেশটির এক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর মোল্লাহ বারাদারকে মুক্তি দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে ২০১৩ সালে দোহায় প্রতিষ্ঠিত হয় তালেবান কার্যালয়। তবে চালুর পরই আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে ওড়ানো পতাকার মতো একই ধরনের পতাকা ওড়ানোর পরই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই শান্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেন।

তিনি অভিযোগ করেন, দোহার কার্যালয়কে তালেবানরা নিজেদের প্রবাসী সরকারের অনানুষ্ঠানিক দূতাবাস হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তখনই নামিয়ে নেওয়া হয় সেই পতাকা। কবে আবার খোলা হবে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই তখন থেকে খালি রয়েছে কার্যালয়টি। তারপর থেকেই দোহার বিভিন œস্থানে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close