আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দালাইলামার স্বীকারোক্তি

বৌদ্ধগুরুদের যৌন নির্যাতনের কথা ধামাচাপা দেওয়া হয়

তিব্বতের আধ্যাত্মিক গুরু দালাইলামা স্বীকার করেছেন, ১৯৯০-এর দশক থেকে বৌদ্ধগুরুরা তাদের শিষ্যদের ওপর যে যৌন নির্যাতন চালাত সে কথা তিনি জানতেন। হল্যান্ডের সরকারি টিভি এনওএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দালাইলামা বলেন, এ অভিযোগ নতুন নয়। তিনি বলেন, ‘এসব কথা আমি জানি, নতুন কিছু নয়। বর্তমানে হল্যান্ডে চার দিনের সফরে রয়েছেন দালাইলামা। ৮৩ বছর বয়সী এই আধ্যাত্মিক গুরু ভারতের হিমাচল প্রদেশে বসবাস করেন।

দালাইলামা দাবি করেন, যারা যৌন নির্যাতন করে বৌদ্ধধর্মের শিক্ষার প্রতি তাদের কোনো ভ্রƒক্ষেপ নেই। এখন যখন সবাই সবকিছু জেনে ফেলেছে, তখন আমি জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাব। শুক্রবার দালাইলামা বর্তমানে হল্যান্ডে বসবাসরত এবং অতীতে বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৫৯ সালে তিব্বতে চীনবিরোধী ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দালাইলামা। তিনি ২০১১ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নেন। চীন অভিযোগ করে, তিনি তিব্বতকে চীন থেকে আলাদা করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দালাইলামা দাবি করেন, তিনি তিব্বতকে চীন থেকে আলাদা করতে চাননি বরং তিব্বতের অধিকতর স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন। তিব্বতকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন। বেইজিং বলছে, আমেরিকার সহযোগিতা নিয়ে তিব্বতকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন দালাইলামা। ১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কাছ থেকে দালাইলামা প্রতি বছর ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার অনুদান গ্রহণ করতেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close