আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দাগি অপরাধীদের কারাগারে অবৈধ অভিবাসীরা
ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে আটক ব্যক্তিদের প্রথমবারের মতো কারাগারে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সাধারণত এ ধরনের ব্যক্তিদের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) ডিটেনশন সেন্টার বা বড়জোর কাউন্টি জেলে রাখা হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কঠোর’ অভিবাসন নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে, উপচে পড়ছে বন্দিশালাগুলো। যে কারণে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে প্রায় এক হাজার জনকে ক্যালিফোর্নিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এইসব অভিবাসীদের দাগি অপরাধীদের সঙ্গে একই কারাগারে রাখায় আইসিইর সমালোচনা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ফোরামের নির্বাহী পরিচালক আলি নুরানি বলেন, খারাপ ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তিদের আটকে রাখতে আমাদের ফেডরাল কারাগারগুলো তৈরি করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসনের কারণে আটক ব্যক্তিদের ওই কারাগারগুলোতে রাখা উচিত হবে না। ফেডারেল কারাগারগুলো আপরাধীদের জন্য। নৃশংসতা থেকে বাঁচতে বা চাকরির খোঁজে অভিবাসী হওয়া মানুষদের রাখার জায়গা সেটা না।
সমালোচনার জবাবে আইসিই কর্তৃপক্ষ বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের রাখার জন্য অন্য ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে তাদের কারাগারে রাখতে হবে।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ওয়াশিংটন কারাগারের ইউনিয়ন নেতারা বলেন, এত বেশি বন্দির স্থান সংকুলান করতে তাদের খুব কম সময় দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তারা কারাগারে কর্মী সংকট এবং অভিবাসী বন্দীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
স্থানান্তর করা ১ হাজার ৬০০ বন্দিকে ১২০ দিন কারাগারে থাকতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আইসিই বন্দিদের রাখতে নতুন জায়গার ব্যবস্থা করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির এক মুখপাত্র।
"