আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৮ মে, ২০১৮

ইয়েমেনে বন্দি নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র বা তার কোনো মিত্র দেশের সেনারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হবে

ইয়েমেনের কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বন্দিদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে মার্কিন সেনারা জড়িত কিনা, সে বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে তদন্ত করার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদর দফতর পেন্টাগনের প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র বা তার কোনো মিত্র দেশের সেনারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করবেন তিনি। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সদস্য রো খান্না এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি পাস হয়। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক রব রেয়নোল্ডস বলেন, এই পদক্ষেপের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিরক্ষা বিল অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা, বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের বিশাল বাজেট বিলের অংশ হিসেবে এই প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। এরপর প্রস্তাবটি সিনেটে যাবে এবং সেখান থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। সব প্রক্রিয়া শেষে এটা আইনে পরিণত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রধান হিসেবে সোমবার গিনা হাসপেল শপথ নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে এই ভোটাভুটি হলো। গত সপ্তাহে হাউসে তার নিয়োগের বিষয়টি ৫৪-৪৫ ভোটে অনুমোদন দেওয়া হয়। অতীতে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বন্দিদের ওপর বেপরোয়া নির্যাতনের অভিযোগ থাকায় অনেকেই তার নিয়োগের বিরোধিতা করে আসছিলেন। গত বছর মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস-এপির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু কারাগারে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে প্রায় দুই হাজার মানুষকে বন্দি রাখা হয়েছে। সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া এক বন্দি জানান, তাকে কয়েক সপ্তাহ জাহাজের কন্টেইনারের মধ্যে চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেন, এসব কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে মার্কিন সেনারা জড়িত রয়েছে। তবে তারা সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনে অংশ নেওয়া বা ওই সম্পর্কে কিছু জানার বিষয়টি অস্বীকার করেন। জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ বিষয়টি তদন্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist