আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন
তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত সোমবার জানিয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে তাদের বৈঠকে দুইপক্ষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন কিংবা কোনো ধরনের সমঝোতা অর্জিত হয়নি। বুলগেরিয়ায় ইইউর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ-ক্লদ জাংকারের সঙ্গে এরদোয়ানের এক ভোজসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিরোধপূর্ণ ইস্যুগুলোর ব্যাপারে উভয় পক্ষই অনড় থাকলে তাদের মধ্যে কোনো প্রকার সমঝোতা ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ২০১৬ সালে তুরস্কে এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর সরকার বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন, সাংবাদিকদের গ্রেফতার, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুর্কি সেনাবাহিনীর অভিযান ও ইউরোপে শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে আঙ্কারার সঙ্গে করা চুক্তির বিষয়গুলো স্থান পায়।
বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যকার এই মতানৈক্য ও পারস্পরিক অভিযোগ ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের যোগ দেওয়ার বিষয়টিকে আরো কঠিন ও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কৃষ্ণ সাগর উপকূলীয় নগরী ভারনায় এই বৈঠক থেকে বড় ধরনের অর্জনের আশা করা হচ্ছিল। তবে ব্যর্থতা সত্ত্বেও টাস্ক জানান, তারা এই বৈঠকে সামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। বৈঠকের পর তিনি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা আজ বড় ধরনের সমঝোতা অর্জন করতে পারিনি সত্যি, তবে আমি আশা করি ভবিষ্যৎ তা সম্ভব হবে।’
টাস্ক আরো বলেন, সিরিয়া ইস্যুর পাশাপাশি তুরস্কে আইনের শাসন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপরেই দুই পক্ষের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি নির্ভর করছে। কিন্তু এরদোয়ান এ ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করছি আমরা তুরস্ক-ইইউ সম্পর্কের একটি অত্যন্ত কঠিন সময় পেছনে ফেলে এসেছি।’ তিনি এ কথাও বলেন যে, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের মতো ইস্যুগুলোতে পারস্পরিক বিরোধ বা অযৌক্তিক সমালোচনা চাই না।
এ ব্যাপারে আমরা সবার কাছ থেকে জোরালো সমর্থন আশা করি।’
"