আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আকাশে উড়বে ট্যাক্সি
বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস বেশ কিছুদিন ধরেই আকাশে ওড়ার উপযোগী ট্যাক্সি নিয়ে গবেষণা করছে। তারা এ ধরনের যান বানিয়েও ফেলেছে। সম্প্রতি প্রথম পরীক্ষায় সফল হয়েছে এয়ারবাসের ‘ভাহানা’ নামের উড়–ক্কু ট্যাক্সি। চলতি বছর জানুয়ারির শেষ দিকেই প্রথমবার আকাশে ওড়ে উড়–ক্কু যানটি। সেটির ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বোচ্চ ১৬ ফুট উচ্চতায় মাত্র ৫৩ সেকেন্ডের জন্য আকাশে উড়েছে ভাহানা। দুই বছর আগে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেয় এয়ারবাস। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস কোনো এক দিন রাস্তার গাড়ির তুলনায় চার গুণ বেগে চলবে এই উড়ুক্কু ট্যাক্সি। একবার চার্জে সর্বোচ্চ ৫০ মাইল পর্যন্ত চলতে পারবে এয়ারবাসের ভাহানা। এতে খরচ হবে গাড়ি বা ট্রেনে যাতায়াত করার মতোই। শুধু এয়ারবাসই নয়, বেশ কয়েক বছর ধরে আকাশে ওড়ার উপযোগী ট্যাক্সি নিয়ে গবেষণা করছে বিশ্বসেরা কয়েকটি গাড়ি ও প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তাদের আশা আগামী এক দশকের মধ্যেই এমন ট্যাক্সি বানানো সম্ভব হবে, যা যাত্রী নিয়ে আকাশপথে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে পারবে মানুষকে। ওড়ার উপযোগী ট্যাক্সি নির্মাণে যেসব প্রতিষ্ঠান গবেষণা করছে, তাদের অন্যতম পোরশে। তাদের আশা এক দশকের মধ্যেই উড়ুক্কু ট্যাক্সির প্রযুক্তি প্রস্তুত হবে। একই ধারণা পোষণ করে ভক্সওয়াগন নামে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এই ট্যাক্সি আসতে এক দশক সময় লাগতে পারে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ভক্সওয়াগনের স্পোর্টস গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। উড়ন্ত ট্যাক্সির ব্লুপ্রিন্ট তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে পোরশে, জেনেভা অটো শোতে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান মাইকেল স্টেইনার।
এক সাক্ষাৎকারে স্টেইনার বলেন, ‘বর্তমানে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে ব্যক্তিগত গতিশীলতা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটিই খুঁজছি আমরা এবং ভবিষ্যতে সবাই যাতে তাদের চাহিদামতো যাতায়াত করতে পারেন, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উড়ন্ত গাড়ির নকশার জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারে পোরশে। পরিবহন বাজারকে পরিবর্তন করতে প্রথাগত গাড়ি থেকে শুরু করে স্বচালিত গাড়িকে রাইড-হেইলিং অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবস্থার আওতায় আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
"