চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূ ও তরুণকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গোয়ালবাড়ী গ্রামে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তরুণ হাসান এবং বিউটি নামের এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বিউটি একই গ্রামের সেন্টুর স্ত্রী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গোয়ালবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসানুজ্জামান হাসান বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় একই গ্রামের সেন্টু রহমানের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদের একটি ঘরে আটকে রাখেন। পরে বাড়ির সামনের একটি গাছে তাদের এক দড়িতে বেঁধে রাখা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা নির্যাতনের পর রাত সাড়ে ১০টায় সালিস বিচারের শর্তে তাদের মুক্ত করা হয়। তবে সেন্টুর স্ত্রী বিউটিকে তুলে দেওয়া হয় হাসানের বাড়িতে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নির্যাতনের শিকার হাসান বলেন, ‘সেন্টু দিনমজুর। আমি কামলা খুঁজতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় গ্রামের ছাদেক আলীর ছেলে ওসমান, মোমের ছেলে মোহিত, আবদুল জামিলের ছেলে আবুল কালাম, জালালের ছেলে মতিয়ার, আসাদুলের ছেলে জামিল, মৃত রিকতির ছেলে সাদেকসহ বেশ কজন আমাকে ও গৃহবধূ বিউটিকে ঘর থেকে জোর করে বের করে একটি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে তারা আমাদের অনেক মারধর করেন। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাদের গাছে বেঁধে নির্যাতন চালান তারা।’
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, এই নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
"