সিলেট প্রতিনিধি
বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলার রায় আজ
হবিগঞ্জের বাহুবলে আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান গতকাল মঙ্গলবার এ রায়ের দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর জানান, গত বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন আদালত। দেড় বছরেরও কম সময়ে এ মামলার প্রক্রিয়া শেষ হলো। গত বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদরাসার ছাত্র। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।
২০১৬ বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পুলিশ গ্রেফতার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আবদুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে। এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। কারাগারে আছেন আরজু মিয়া, শাহেদ, আবদুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া। আর উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক। সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আবদুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকা- ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরো সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
"