প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ নভেম্বর, ২০১৯

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জিরা...

গুণসম্পন্ন মসলার মধ্যে জিরা অন্যতম, এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও কার্যকর। শুধু স্বাদকারকের তৃপ্তিই নয়, এশীয় অঞ্চলের মসলার বেশির ভাগই আয়ুর্বেদিক গুণাগুণে সমৃদ্ধ। সে রকম গুণসম্পন্ন মসলার মধ্যে জিরা অন্যতম। বাংলাদেশে মাছ-মাংস রান্নায় এর বহুল ব্যবহার। পাশাপাশি, ইউরোপে, বিশেষ করে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের

রান্নাতেও জিরা দেওয়া হয়। খ্রিস্টের জন্মের কয়েক হাজার বছর আগে প্রাচীন পারস্য, ব্যাবিলন এবং মিসরীয় সভ্যতায় রান্নায় ও ওষুধ হিসেবে জিরার ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া য়ায়। তাছাড়া রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জিরার স্বাস্থ্যসম্মত গুণাগুণ প্রচুর-

বহুদিন ধরেই জিরার ব্যবহার হয়ে আসছে হজমের সহায়ক হিসেবে। জিরার প্রভাবে বাড়ে হজমে সহায়ক উৎসেচকের ক্ষরণ। ফলে হজমের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। তাছাড়া জিরার জন্য যকৃৎ বা লিভার থেকে পিত্তরস ক্ষরণ বাড়ে। এই পিত্তরস সাহায্য করে পরিপাক ক্রিয়ায়।

জিরার দানা প্রাকৃতিকভাবে লোহার উৎস। এক চামচ জিরাগুঁড়োয় আছে ১ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম লোহা বা আয়রন। আধুনিক গবেষণায় জানা গেছে, শরীরের ক্ষতিকারক ট্রাইগ্লিসারইড নিয়ন্ত্রিত থাকে জিরার প্রভাবে।

সরাসরি জিরা সেবনের পাশাপাশি জিরা ভেজানো জলের উপযোগিতার কথাও বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। রাতে এককাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অর্ধেক চামচ জিরা। সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। অনেকে গোটা জিরা ফুটিয়েও মিশ্রণ বানান, তারপর ওই ঈষদুষ্ণ পানি পান করেন। জিরা মিশ্রিত জল পান করার গুণাগুণ অনেক।

আসুন দেখে নিই এই মিশ্রণ পান করার ভালো দিক কি কি : হজম প্রক্রিয়া এবং পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক। বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হজমের গন্ডগোল কম রাখতে সাহায্য করে। মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মধুমেহ রোগীদের জন্যও উপকারী। নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চরক্তচাপ। ভালো থাকে লিভারের স্বাস্থ্য।

রক্তাল্পতা দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। চুলের জেল্লা বজায় থাকে। বয়সের ছাপ মুছে এবং ব্রণ দূর করে ত্বকের চাকচিক্য ধরে রাখে। বহুদিন ধরেই জিরার ব্যবহার হয়ে আসছে হজমের সহায়ক হিসেবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close