ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ২৬ জুন, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্য হত্যা

খুন করে কাটা মাথা নিয়ে থানায় ঘাতক

ঘুমন্ত মানুষকে কোপ দিয়ে মাথা কেটে ব্যাগে ভরে রীতিমতো থানায় হাজির হয়েছে ঘাতক। হরর সিনেমার মতো এমন কা- ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে।

গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে লিটন ঘোষ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে খুন করে তার বিচ্ছিন্ন মাথা নিয়ে থানায় হাজির হয়েছে লবু দাস (৫০) নামে একজন ঘাতক। দুপুরে উপজেলার গৌর মন্দিরে এ খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খুনিকে গ্রেফতার করেছে।

লিটন ঘোষ কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত মতিলাল ঘোষের ছেলে। লিটন ঘোষ নাসিরনগর সদরের ঘোষ পাড়ায় তার বোন মিনা রানী ঘোষের স্বামী নেপাল ঘোষের বাড়িতে থেকে বিভিন্ন কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করত। ঘাতক লবু উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পরমানন্দ দাসের ছেলে। তাদের দুজনের মধ্যে আগে থেকে কোনো পরিচয় ছিল না। খুনের কারণ সম্পর্কেও তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিটনের বোন মিনা রানী ঘোষ জানায়, ঘটনার আগে লিটন ঘোষ বোনের বাড়ি থেকে দুপুরের খাওয়া শেষে নাট মন্দিরের ভেতর ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় লবু দাস ঘুমন্ত লিটনকে ধারালো দা দিয়ে মাথা কেটে ব্যাগে ভরে নিয়ে থানায় গিয়ে হাজির হয়। এ সময় পুলিশ তার ব্যাগ থেকে ধারালো দা ও লিটনের মাথা উদ্ধার করে। মিনা রানী ঘোষ আরো জানায়, ৫ ভাই ২ বোনের মাঝে লিটন ভাইদের মাঝে সবার ছোট। সে নাসিরনগর থেকে মজুরি শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করত । স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, লবু দাস একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। মাস ছয়েক আগে মতি দাস নামে তার এক চাচাকে হত্যার ঘটনায়ও সে অভিযুক্ত। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি সে জামিনে ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে আসে। গতকালের হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজিদুর রহমান জানান, লবু ব্যাগের করে থানায় মাথা নিয়ে এসে বলে আরো মাথা আনবে। ধারণা করা হচ্ছে, সে মানসিক রোগী। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close