চট্টগ্রামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র ও ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এয়ার হোসেন নামে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালায় ওই গৃহবধূ। বর্তমানে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূর স্বামী চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত এসআই এয়ার হোসেন বায়েজিদ বোস্তামী থানায় কর্মরত।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে চাকরি এবং আমাকে একটি দোকান খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এয়ার হোসেন আমাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে। গত ১৮ আগস্ট ইয়াবা ও অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ‘এরপর জিম্মি করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ওখানে টানা নয় দিন রেখে ধর্ষণ করে। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে এলেও ফের তার কাছে যাওয়ার জন্য ফোন করতে থাকে। পরে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সে। বর্তমানে সে নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘গত ৩০ অক্টোবর বিষপানের পর ওই নারী আমাদের মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত।’ এসআই এয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার সম্মানহানি করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সঙ্গে বসে আমি নিজেই বিষয়টা মীমাংসা করব।’

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘এসআই এয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"