প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মহাকাশ স্টেশনে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা : নেপথ্যে কী!

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কি কোনো অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হয়েছিল? কোনোভাবে মহাজাগতিক বিকিরণ বা তেজস্ক্রিয় রশ্মি ঢুকিয়ে কি ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল মহাকাশ স্টেশনকে? নাসা এবং রুশ মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’ কিন্তু সেই আশঙ্কাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়নি। বরং যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তন্ন তন্ন করে খোঁজা হবে এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত। এ তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেবে রুশ মহাকাশ সংস্থা। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা গতকাল রোববার এ খবর জানায়।

এই ‘রটনা’ শুরু হয় আগস্টের শেষে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ওপরে কক্ষপথে ঘোরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি দুর্ঘটনার পর। ওই সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নেমেছিল রাশিয়ার পাঠানো মহাকাশ যান ‘সয়ুজ (এম এস-০৯/৫৫এফ)’। সেই রুশ মহাকাশযানের ছাদে খুব ছোট একটি ফুটো দেখতে পান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীরা। ছিদ্রটি আকারে ছিল ২ মিলিমিটার (০.০৮ ইঞ্চি)। ছিদ্রটি প্রথম দেখতে পান মহাকাশ স্টেশনে থাকা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নভোশ্চর আলেকজান্ডার জার্স্ট। সঙ্গে সঙ্গে সেই ছিদ্র মেরামত করে ফেলা হয় এবং তাতে সহায়তা করেন সেরগেই পাপারদু।

গত বৃহস্পতিবার টেলি কনফারেন্সে নাসার শীর্ষকর্তা জিম ব্রিডনস্টাইনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় ‘রসকসমস’ এর জেনারেল ডাইরেক্টর দিমিত্রি রোগোজিনের। প্রায় এক ঘণ্টার কথোপথনের পর ঠিক হয়, এ ব্যাপারে যৌথ বিবৃতি দেবেন নাসা ও রসকমমস-এর দুই শীর্ষ কর্তা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই যৌথ বিবৃতির চূড়ান্ত বয়ান পাওয়া যায়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ বা ব্যাখ্যা ঘোষণা করবে না দুই মহাকাশ সংস্থা। তারা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজবে। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া অন্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল কি না, সেটা খুঁজে দেখাই হবে তদন্তের মূল লক্ষ্য।

ওই বিবৃতিতে অবশ্য সেদিনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা সব মহাকাশচারীর ভূমিকাকে প্রশংসা করা হয়েছে। নাসা এবং রসকসমসের দুই শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে টেলি কনফারেন্সে ঠিক হয়েছে, আগামী ১০ অক্টোবর কাজাখস্তানের বৈকানুরে যাবেন নাসার শীর্ষ কর্তা ব্রিডনস্টাইন। সেখানেই রুশ মহাকাশ সংস্থার শীর্ষ কর্তা রেগোজিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন ব্রিডনস্টাইন। তদন্ত কতদূর এগোল, সে ব্যাপারে দুই মহাকাশ কর্তার মধ্যে তথ্য আদান প্রদান হবে। ওই সময়ই সৈয়ুজ গোত্রের আরো একটি মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করবে রাশিয়া। তাতে মহাকাশচারী হিসাবে থাকবেন আমেরিকার হেগ ও রুশ মহাকাশচারী আলেক্সি ওহচিনিন। নাসা সূত্রের খবর, আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য দুই মহাকাশ সংস্থার মধ্যে সম্পর্ককে দৃঢ়তর করার ব্যাপারেও এদিন অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন মহাকাশ সংস্থা নাসা ও রসকসমসের দুই শীর্ষকর্তা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close