মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মধুমতির ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে ৭ গ্রাম

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মধুমতী নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ৭টি গ্রামের ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এরমধ্যে রয়েছে ২১টি পরিবারের অর্ধশাতধিক ঘর-বাড়িসহ আবাদি জমি, গাছপালা, মসজিদ ও গোরস্থান। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার, কাশিপুর গোরস্থান, কাশিপুর ও ভোলানাথপুরের পুজা মন্দির, অসংখ্য দোকান-পাটসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি।

অন্যদিকে গোপালনগর ও ঝামা এলাকায় নদীর মাঝ বরাবর জেগে উঠেছে বিশাল চর। চরের কারণে স্রোতপ্রবাহ বাধা পেয়ে প্রবল বেগে নদী তীরে ঢেউ আছড়ে পড়ায় তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে তীরবর্তী গ্রাম। ভাঙনের তীব্রতায় অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময়ও পাননি। সহায় সম্বলহীন হয়ে অন্যত্র বসতি গড়েছেন তারা। বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে।

দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে মধুমতির ভাঙনে বদলে যাচ্ছে মহম্মদপুর উপজেলার মানচিত্র। মানচিত্র থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে কাশীপুর, রায়পুর, রুইজানি, হরেককৃষ্ণপুর, দেউলি, ঝামা ও ভোলানাথপুর গ্রাম।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে দেখা গেছে, স্বর্বস্ব হারানো অসহায় নারী-পুরুষের আহাজারি। ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বসবাস করছেন কেউ কেউ। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা। কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ডা. তিলাম হোসেন বলেন, নদী ভাঙনে আমরা নিঃস্ব। গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এ পর্যন্তু কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close