যশোর প্রতিনিধি
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু হাসপাতাল ভাঙচুর
যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের পুত্রবধূ সদ্য মা হওয়া পিংকি (৩০) ‘ভুল চিকিৎসায়’ মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পরে যশোরের কুইন্স হাসপাতালে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকা এই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পিংকির স্বামীর নাম পার্থপ্রতীম দেবনাথ রতি। প্রায় আট বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। রতির ভাই রানা নাথ জানান, রতি-পিংকি দম্পতির ঘরে সন্তান জন্ম হচ্ছিল না। অনেক চিকিৎসার পর পিংকি গর্ভধারণ করেন। তিনি গাইনি চিকিৎসক জাকির হোসেনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তার জাকিরের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিংকি একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। সন্ধ্যায় ডা. জাকির প্রসূতির জন্য ‘ওমেপ’ নামে একটি ইনজেকশন লেখেন। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের নার্স জেসমিন ওই ইনজেকশনটি প্রসূতির শরীরে পুশ করেন। এর কিছু সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পিংকি। সদ্যজাত শিশুটি সুস্থ আছে।
ডাক্তার জাকির দাবি, রোগীর স্বজনরা পাশের একটি ফার্মেসি থেকে ‘ওমিজিড’ নামে ইনজেকশন কেনেন; যেটি ছিল ভেজাল। এই ‘ভেজাল’ ইনজেকশন পুশ করার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হতে পারে। এদিকে মোহিত নাথের পুত্রবধূর অপমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বহু লোক চড়াও হয় কুইন্স হাসপাতালে। তারা হাসপাতালটির সপ্তম তলায় উঠে আসবাবপত্র তছনছ করে। ভেঙে ফেলে জানালার গ্লাসগুলো। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত আবুল বাশার মিয়া জানান, খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কুইন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মিঠু সাহা দাবি করেন, লোকজন উত্তেজিত হয়ে সামান্য ভাঙচুর করেছে। তবে ভুক্তভোগীদের কেউ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত না। তৃতীয় পক্ষ এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
"