নিজস্ব প্রতিবেদক
ওষুধের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম। তিনি বলেছেন, ওষুধ উৎপাদনে বিভিন্ন পর্যায়ে কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তাই ওষুধের দামও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসহে হবে। গতকাল শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওয়ান ফার্মার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমানসহ ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সম্পদ সীমিত। বেসরকারি খাতের ওপর ভর করে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর ওষুধের চাহিদা পূরণে আমদানি করা হতো। এখন নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ওষুধ রফতানির অনুমোদন পাওয়া কঠিন। এর পরও সেখানে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি ওষুধ রফতানি করছে। এ থেকেই বোঝা যায় দেশে আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ান ফার্মা অল্প সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান, মিয়ানমার ও ইয়েমেনে ওষুধ রফতানি শুরু করেছে। এজন্য তিনি ওয়ান ফর্মা কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে ওয়ান ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৫ সালের নভেম্বরে কোম্পানির যাত্রা হয়। যাত্রার প্রথম দুই বছরে তারা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকায় মানসম্পন্ন ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশেও ওষুধ রফতানি শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৮ সালে দেশে চার হাজার ৬০০ কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন হতো। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরে ওষুধশিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।
"