নিজস্ব প্রতিবেদক
এ কে আজাদকে দুদকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদকে সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলী গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাদের প্রধান কার্যালয়ে আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। বেলা ১টার সময় সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজাদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি আমার বক্তব্য দুদককে জানিয়েছি। এর সত্যতা তারা খতিয়ে দেখবে।
অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক কি না- এমন প্রশ্ন এই ব্যবসায়ীর সামনে রেখেছিলেন একজন সাংবাদিক। জবাবে তিনি বলেন, এটা তদন্তাধীন বিষয়, মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
আজাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়ে ঘোষিত আয়ের বাইরে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
কমিশন সচিব মো. শামসুল আরেফিন জানান, এর আগে গত ৯ মে দুদকের দ্বিতীয় দফা তলবে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করেছিলেন আজাদ। তখনই তাকে ১০ দিন সময় দিয়ে ২২ মে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মতো আজাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। রমনা থানার ওই মামলায় ঘোষিত আয়ের বাইরে তার ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকার সম্পদ থাকার কথা বলা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেক মামলাতেই দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আজাদের মামলাও তার মধ্যে একটি।
"