নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার যুদ্ধাপরাধ মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে আদেশ
নেত্রকোনায় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার নেত্রকোনার বিচারিক হাকিম সৈয়দ আবদুল্লাহ আল হাবিব এ আদেশ দেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার হারুলিয়া গ্রামের শিব্বির আহমেদ তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা করেন।
আসামিদের তিনজন হলেন হারুলিয়া গ্রামের আবু আশরাফ মিসবাহ উদ্দিন (৭৭), কেন্দুয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি এবং কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ (৭০) ও গাজী রহমান ওরফে আলতু মিয়া (৮০)।
মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি মো. শহীদুল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময় (বাংলা ১৩৭৮ সালের ৭ ভাদ্র) দুপুরে আসামিরা পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে কেন্দুয়ার চিথোলিয়া পাল বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং আশুতোষ পালসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যা করেন। একই দিন গোপালাশ্রম গ্রামের ধরবাড়ি ও ডাক্তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এর পাঁচ দিনের মাথায় ১২ ভাদ্র আসামিরা এলাকার চিকিৎসক খগেন্দ্র বিশ্বাসসহ চারজনকে ধরে ধোপাগাতি গ্রামের জামে মসজিদের সামনে ডোবায় রাজী নদীর নালায় নিয়ে হত্যা করেন। একই দিন এলাকার বহু বাড়িঘরে আগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ এবং অনেক নারী ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শহীদুল্লাহ বলেন, ওই দুই দিনই আসামি ও পাকসেনারা যৌথভাবে এ হামলা চালায়। এতে বহু নারী-পুরুষ-শিশু আহতও হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। সে সময় আহত হয়ে এখনো শরীরে গুলি রয়েছে রশিদা আক্তারের। এ মামলায় রশিদা আক্তারসহ ৫০ জনকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।
"