‘লাইক’র নেশা সবাইকে পেয়ে বসেছে!
...দেখি তো, কয়টা লাইক পড়ল!
‘লাইক’ শব্দটিই বোধ হয় এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যবহৃত শব্দ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটি পোস্ট দিয়ে একটু পরপর সবাই ঢুঁ মারছেন- দেখি তো, কয়টা ‘লাইক’ পড়ল। কে কী মন্তব্য করল! বলতে গেলে এখন যেন সবাইকে লাইকের নেশা পেয়ে বসেছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে একেকটা লাইক কী যে এক আকর্ষণ সবার কাছে! মেসি, রোনালদো, নেইমার-মাসচেরানোরাও তো রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। যত বড়ই তারকা হন না কেন। তাদের সামাজিক মাধ্যমে আছে অ্যাকাউন্ট। আছে লাখো-কোটি অনুসারী। এসব মাধ্যমে যথেষ্টই সক্রিয় ফুটবল দুনিয়ার শীর্ষ এই তারকারা। নিয়মিতই পোস্ট দেন সেখানে।
শুধু তারকারা নয়, সামাজিক মাধ্যমে ক্লাবগুলোও বেশ সক্রিয়। বার্সেলোনার ফেসবুক পেজ থেকে আজ পোস্ট করা একটি ছবি যেমন বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ম্যাচের আগে কিংবা পরে অথবা অনুশীলন থেকে ফেরার পথে তোলা। সবাই ব্যস্ত হাতের মোবাইল ফোনটায়। কেউ ফেসবুকে, কেউবা টুইটারে। কেউ হয়তো ইনস্টাগ্রামে ব্যস্ত নতুন কোনো ছবি আপলোডে। লাইক-এর ব্যাপারটি কিন্তু থাকছেই। সাধারণ মানুষের মতোই নেইমারদেরও আগ্রহ লাইক নিয়ে।
কোনো পোস্টে লাইকের সংখ্যা, মন্তব্যের সংখ্যা বেশি হলে তারাও নিশ্চয়ই খুশি হন। মুখ গোমড়া হয় লাইক কম পেলে, মন্তব্য কম এলে, কেউ খারাপ মন্তব্য করলে; তা ভিন ক্লাবের সমর্থকেরা কটু মন্তব্য করে বৈকি! সমাজ কিংবা মনোবিজ্ঞানীরা মানুষের দিনে দিনে ভার্চ্যুয়াল জগতে আবিষ্ট হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। পাশে রক্তমাংসের বন্ধুদের রেখেও কেন মানুষ কল্পিত এক আড্ডার জগতে বেশি ঝুঁকছে। কী এর ভালো-মন্দ। সেটিও ভেবে দেখা দরকার।পিডিএসও/মুস্তাফিজ