যেকোনো মূল্যে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কোনো দণ্ডিত অপরাধীর মুক্তির শর্তে আগামী নির্বাচন নয়, এই শর্ত একটা অরাজনৈতিক। এই শর্ত মেনে নেওয়া মানে অপরাধতন্ত্রকে মেনে নেওয়া। বিএনপি সেই আঘাতটাই হানতে চায়। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, বিএনপি দণ্ডিত অপরাধীর মুক্তির প্রশ্নটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে। তারা নির্বাচন বর্জনের পাঁয়তারা করছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর দেশ কোনো পথে যাবে এই প্রশ্ন মীমাংসা হবে। এই মীমাংসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ টিকবে কি টিকবে না সেটা নির্ধারিত হবে। কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশ আর পেছন দিকে যেতে পারে না।
এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল জগতটা বর্তমানে অপরাধের কবলে পড়েছে। রাষ্ট্র ও সমাজ এতে বিব্রত হয়ে পড়েছে। জাতিকে নিরাপদ রাখতে এবং সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় তদারকি সেল কার্যকর করার কথাও বলেন।
নির্বাচনে বিএনপির সেনা মোতায়েনের দাবি সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবিতে বিএনপি সোচ্চার হয়েছে। অথচ দলটি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ফল না মেনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ২০০৮ সালে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেনা মোতায়েন করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করেছিল। সেই ভোটের ফলাফল বিএনপি মানেনি। সুতরাং, বিএনপির কাছে ভোট বড় কথা নয়। তাদের এজেন্ডা হচ্ছে দেশকে আবারও পাকিস্তান পন্থার পথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সামনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা রাজনৈতিক কর্তব্য রয়েছে। যেকোনো মূল্যে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে। সাংবিধানিক সরকারই দেশের মঙ্গলজনক।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মিট দ্য প্রেস সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।
পিডিএসও/তাজ