রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতা ও আফ্রিকার উন্নয়ন

তৎকালীন দক্ষিণ রোডেশিয়ার এক ছোট শহর কুতামাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সোনা গোত্রভুক্ত এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন মুগাবে। কুতামা কলেজ ও ফোটহারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে মুগাবে মার্কসীয়-লেনিনীয় দর্শন অনুসারী হন এবং কর্মজীবনের প্রথম পর্যায়ে কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে রোডেশিয়া এবং ঘানায় প্রসিদ্ধি লাভ করেন। এ সময় ঘানা ঔপনিবেশিক আফ্রিকান মহাদেশে একমাত্র উপনিবেশবাদমুক্ত স্বাধীন দেশ ছিল। পরে ১৯৬০ সাল থেকে তখনকার রোডেশিয়ায় উপনিবেশ স্থাপনকারী জনসংখ্যার হিসাবে সংখ্যালঘিষ্ঠ শ্বেত সম্প্রদায়ের একচ্ছত্র ভূমি মালিকানা ও সরকারি শক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে সংঘবদ্ধ করতে থাকেন তিনি। ১৯৬৪ থেকে ৭৪ পর্যন্ত রোডেশিয়ার সংখ্যালঘু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধি শ্বেতশাসক আয়ান স্মিথ তাকে প্রায় ১১ বছর কারান্তরে বিনা বিচারে আটকে রাখেন। জেলে থেকে ডাকযোগে পাঠ নিয়ে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর, প্রশাসনে স্নাতক ও আইন বিষয়ে প্রবেশিকা ডিগ্রিপ্রাপ্ত হন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি পাশের মোজাম্বিকে পালিয়ে যান। পরে রোডেশিয়ায় ফিরে এসে জনগণকে উপনিবেশবাদ ও সংখ্যালঘু শ্বেত সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত করে জিম্বাবুইয়ান আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের (জানু) নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হন এবং শ্বেত ঔপনিবেশিক শাসক আয়ান স্মিথের সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণকায় জনগণকে রোডেশিয়ার সর্বত্র বন থেকে বনে ছড়িয়ে পড়া গেরিলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তার সহযোগী ছিলেন জোসিয়া তনগোগারা। ইতোমধ্যে ১৯৬৫ সালে আয়ান স্মিথ রোডেশিয়াকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাইরে একতরফাভাবে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন।

কিন্তু ব্রিটেন এভাবে ঘোষিত স্বাধীনতাকে প্রাথমিক পর্যায়ে স্বীকৃতি দেয়নি। রোডেশিয়ার কৃষ্ণ জনগণ স্বাধীনতাকে গ্রহণ করে; কিন্তু শ্বেত সংখ্যালঘু সরকারের তীব্র বিরোধিতা করে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তথা কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাতে থাকেন। পরে ব্রিটেনের মধ্যস্থতায় রোডেশিয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গদের সম্মতি ও মতৈক্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত এবং সে দেশের বড় বড় শ্বেতাঙ্গ ভূমিমালিকদের জমি যথার্থ ক্ষতিপূরণ দিয়ে জাতীয়কৃত করে কৃষ্ণদের মধ্যে বিতরিত হবে—এই দুই শর্ত মেনে মুগাবে ১৯৮০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ব্রিটেন তার সরকার ও রোডেশিয়ার স্বাধীনতাকে মেনে নেয়। এ সময় তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিপ্লবের বীর পুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আশা করা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে তিনি তার দেশে দল ও গোষ্ঠীগত বিরোধ দূর করতে সক্ষম হবেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুযায়ী জনগণের কাছে জবাবদিহির সরকার স্থাপন করবেন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গদের যথা প্রয়োজন নাগরিক প্রতিরক্ষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে মুগাবে রোডেশিয়ার নাম জিম্বাবুইয়েতে পরিবর্তন করেন। সব পক্ষ থেকে আশা করা হয়, জিম্বাবুইয়ের উপনিবেশবাদী একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণাকারী শ্বেত সংখ্যালঘুদের সরকার দূরে সরিয়ে তিনি সব বর্ণ ও শ্রেণির জনগণের জন্য প্রকৃত গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবেন। মুগাবের জীবনালেখ্য পর্যালোচনা করলে অনেক বৈশিষ্ট্য সহজেই স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা যায়। যেমন : মুগাবে গণতন্ত্রের অনুসারী ছিলেন না, প্রকৃত পর্যায়ে স্বৈরশাসন ও আত্মসমৃদ্ধি ছিল তার জীবনের মূলমন্ত্র।

মুগাবে সৎ ছিলেন বলা চলে না, জনগণের সম্পদ অনৈতিকভাবে অর্জন ও ব্যবহারকরণ এবং সরকারি ক্ষমতায় নিজ স্বার্থে ব্যবহার তাকে তার শ্বেতাঙ্গ ঔপনিবেশিক শাসক থেকে ভিন্নতর ও সৎ মানব হিসেবে বিশিষ্টতা দেয়নি। তিনি কার্যকরণে সাম্প্রদায়িক ছিলেন। তিনি শ্বেতাঙ্গদের যেমন ঘৃণা করেছেন, তেমনি বিভিন্ন গোত্রে বিভাজিত তার দেশের কৃষ্ণকায়দের মিলন ঘটাতে পারেননি, এমনকি এই লক্ষ্যে তার শাসনামলের প্রথম দিকের চেষ্টাও আন্তরিক ছিল না। মুগাবের শাসন ও অপতৎপরতা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পাওয়া কিংবা মুক্তির পথে অগ্রসরমান আফ্রিকার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে। আফ্রিকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, গোত্রভিত্তিক আনুগত্যের বাইরে সব মানুষের অধিকার ও অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে এই মহাদেশের সক্ষমতাকে বিশ্বব্যাপী প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। স্বৈরতন্ত্র যে জনগণের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না এবং মানবাধিকার রক্ষা করতে সক্ষম নয়—মুগাবের জীবন ও শাসন তাই প্রতিভাত করে গেছে। কর্মজীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে আফ্রিকার স্বাধীনতা ও উন্নয়নের অনুকূলে তার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি তার দলের জনগণের শ্রদ্ধা কিংবা আনুগত্য অর্জন করতে সফল হননি। তিনি আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সম্মানে বিশ্বাসী ছিলেন না। ফলে তার শাসনের প্রথম চার বছর ছাড়া অন্য কোনো সময়ে সুশীল প্রশাসন স্থাপন, সংরক্ষণ ও প্রসারণ তার কৃতকর্মকে কোনোক্রমেই বিশেষায়িত করেনি। জিম্বাবুইয়েতে তিনি আধুনিক, গতিশীল ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরূপ অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুঃসময়ে মুগাবে দেশের বাইরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়াস নেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান নির্বাচিত হন।

প্রাথমিক পর্যায়ে মুগাবে জিম্বাবুইয়ে দৃষ্টি আকর্ষণীয় প্রগতিশীল কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করেন। ১৯৮০ সালে জিম্বাবুইয়ে মাত্র ১৭৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। ২০০০ সালের মধ্যে এসব বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়ে যায়। এ সময় বয়স্ক সাক্ষরতার হার ৬২ শতাংশ থেকে ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়, শিশুদের রোগ প্রতিষেধক ইনজেকশনের ব্যাপ্তি ২৫ শতাংশ থেকে ৯২ শতাংশে উন্নীত হয়। তার সরকার শ্বেতাঙ্গ বড় কৃষকদের জমি ন্যায্যমূল্যের বিপরীতে কৃষ্ণাঙ্গ ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যে বিতরণ শুরু করে। একই সময় তার কৃষ্ণাঙ্গ গোত্র সোনার সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল জমুয়া নকমোর নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুইয়ে আফ্রিকান জন ইউনিয়ন বা জাপুর সঙ্গে সমঝোতা স্থাপনে তিনি প্রয়াসী থাকেন। তিনি তার মন্ত্রিসভায় চারটি পদে বিরোধী দলকে স্থান দেন। পরে ১৯৮৭ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করেন। স্বৈরতান্ত্রিকতার অনুসরণে তিনি ২০০২, ২০০৮ ও ২০১৩-তে প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকেন। এ সময় তিনি স্বৈরতান্ত্রিকতার পথ অনুসরণ করে একাধারে অত্যাচারী ও অযোগ্য প্রশাসক হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে নিজকে প্রতিভাত করেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সালে তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নকমোর সমর্থকদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালান। গুকুরাহুন্দি সূত্র অনুযায়ী মাতাবেলেল্যান্ডে তার সৈন্যবাহিনী ও সমর্থকরা ন্যূনপক্ষে ২০ হাজার বিরোধী জনগোষ্ঠীকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে। দেশের বিরোধী দলকে সর্বাত্মকভাবে তার রাজনৈতিক দল ও সরকার দিয়ে নির্যাতন এবং দমন করা হয়। তাদের জন্য সভা-র‌্যালি নিষিদ্ধ, সব অফিসগৃহ তালাবদ্ধ এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত সব জেলা কাউন্সিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিরোধী দল জাপুকে বেআইনি ঘোষণা করে এর সদস্যদের সরকারি দল জানুতে জোর করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে জিম্বাবুইয়ে কার্যত একক রাজনৈতিক দলের দেশে পর্যবসিত হয়। তার অনুমোদিত সেøাগান সারা দেশে নির্লজ্জভাবে উচ্চারিত হয় : বিরোধী দলকে ভোট দিয়ে আত্মহত্যা করো না, সরকারি দলকে সমর্থন করে বেঁচে থাকো। ২০০৫ সালে মুগাবের অত্যাচারী সরকার সাত লাখ বস্তিবাসীকে নগর উন্নয়নের মোড়কে বাস্তুচ্যুত করে। শ্বেতাঙ্গদের জন্য পার্লামেন্টের সংরক্ষিত ২০ আসন বিলুপ্ত করা হয়। শ্বেতাঙ্গ শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক কৃষকরা জিম্বাবুয়ে ছেড়ে ব্রিটেনে অভিবাসী হতে থাকেন। রোডেশিয়ার স্বাধীনতাযুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে স্বাধীন জিম্বাবুইয়েতে নিজ দেশবাসীকে হত্যা করে মুগাবের তল্পিবাহকরা অত্যাচারের রেকর্ড স্থাপন করে ফেলেন। সরকারি রাজনৈতিক দল জানুর নেতা ও কর্মীরা জিম্বাবুইয়ের সব স্থানে নিজেদের ব্যবসাকেন্দ্র খুলে বসেন। সব সংবাদপত্র সরকারি দলের মালিকানাভুক্ত ট্রাস্টের অধীনে আনা হয়। ২০০৩ সালে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থার (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ) হিসাব অনুযায়ী খাদ্য-নিরাপত্তার বলয়ের বাইরে জিম্বাবুইয়ের ৫২ শতাংশ জনগণ নিপতিত হয়। ২০০৯ সালের মধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশ জনগণ বিদেশ থেকে আমদানীয় খাদ্য-সহায়তার ওপর নির্ভরশীল বলে বিদিত হয়। এ সময় খাদ্য বিপণন বোর্ড স্থাপন করে মুগাবের সরকার খাদ্য বাজারজাতকরণ থেকে ব্যক্তি উদ্যমকে বহিষ্কৃত করে। এই খাদ্য বিপণন বোর্ড, খাদ্যের বিতরণ প্রধানত মুগাবের রাজনৈতিক দল জানুর সদস্যদেদর মধ্যে সীমিত রাখে। ১৯৯০-এর দশকে জিম্বাবুয়ের অর্থব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ে পতিত হয়। মুগাবের মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চপদাসীন নির্বাহীরা দুর্নীতিতে আবদ্ধ থাকেন, দেশব্যাপী সার্বিক উৎপাদন তীব্র গতিতে কমে যায়। মোট কথা, মুগাবের সরকার ব্যর্থ সরকারে পর্যবসিত হয়, জিম্বাবুইয়ের নাম ব্যর্থ রাষ্ট্রের উদাহরণ হিসেবে বহির্বিশ্বে উল্লিখিত হতে থাকে। ১৯৯৬-এ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকে সক্রিয় সহায়তা দেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার উন্নয়ন সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বিভাগের প্রধান নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি দ্বিতীয় কঙ্গোযুদ্ধে ১১০০০ সৈন্য পাঠান, কঙ্গোর তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সমর্থনে অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়াকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। এই যুদ্ধে প্রযুক্ত হয়ে জিম্বাবুইয়ের অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও মুগাবে দৈনিক ১ মিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রীয় ডলার ব্যয় করতে থাকেন। ১৯৮০ সালেও তিনি জিম্বাবুইয়েকে আফ্রিকান ঐক্য সংঘের সদস্য হিসেবে সংযুক্ত করেন এবং ১৯৯৭ সালে এই সংঘের সম্মেলন অযৌক্তিক ব্যয়ে নিছক আত্মসন্তুষ্টির জন্য হারারেতে অনুষ্ঠিত করেন। মুগাবের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণের সমর্থন নিয়ে জিম্বাবুইয়ের সামরিক বাহিনী ২০১৭-এর ১৫ নভেম্বর তাকে গৃহবন্দি করে। ১৯ নবেম্বর তার রাজনৈতিক দল জানু তাকে দল থেকে পদচ্যুত করে। ডিসেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মানান গাগওয়ার নেতৃত্বে গঠিত পরবর্তী সরকার তাকে পূর্ণ কূটনৈতিক মর্যাদা, সরকারি ব্যয়ে আজীবন ৫ শয়নকক্ষের একটি বাড়ি, ২৩ জন সেবক কর্মচারী এবং তার অর্জিত সব সম্পদ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাখার অধিকার দেয় এবং তাকে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রীয় ডলার প্রদান করে।

২০১৯-এর ৬ সেপ্টেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন তার দেশের প্রেসিডেন্ট মানানগাগওয়া, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরো কেনিয়াতা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা। আফ্রিকার অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এই শেষকৃত্যে আসেননি। তেমনি আসেননি পাশ্চাত্যের কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান এবং এরা কেউ তার মৃত্যুতে শোকবাণী পাঠাননি বা প্রকাশ করেননি। এভাবেই তার শেষকৃত্যটা হবে বা পাবেন জানলে হয়তো এমন জীবন থেকে দূরে সরে থাকতেন। আসলে মানুষ ক্ষমতার লোভে না বুঝে কত কিছুই না করে কিন্তু যখন বুঝে তখন সবই শেষ হয়ে যায়।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট [email protected]

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আফ্রিকার উন্নয়ন,স্বাধীনতা,রায়হান আহমেদ তপাদার,মুগাবে
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close