রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে বহু পরিব্রাজক এবং ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন-সম্ভাবনা অপরিসীম। আমাদের রয়েছে সুবিশাল সমুদ্রসৈকত, পাহাড়, অরণ্যঘেরা জলপ্রপাত, প্রত্নতত্ত্বের প্রাচুর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসহ নানা ধরণের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি আমাদের দেশকে পরিণত করেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণ সমৃদ্ধ অনন্য পর্যটন গন্তব্যে, যা বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছে পর্যটকদের জন্য তীর্থস্থান হিসেবে। বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প বিকাশের অবারিত সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২৫ থেকে ৩০ লাখ। ২০০০ সালের দিকে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ থেকে ৫ লাখ। বিদেশি পর্যটক নির্ভরতা ছাড়াও দেশীয় পর্যটকদের নিরাপত্তা, যোগাযোগ সুবিধা, আকর্ষণীয় অফার এবং পর্যটন ব্যয় সীমার মধ্যে থাকলে দেশের মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেশ ঘুরে দেখতে চাইবে। আর দেশের মানুষকে দেশ দেখানো-শ্লোগানে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে পর্যটন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এক হিসেবে বলা হয়, ১৬ কোটির বেশি মানুষের বাংলাদেশ গড়ে প্রতিবছরে ১০ ভাগও যদি দেশ ঘুরে দেখে তাহলে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক তৎপরতা সৃষ্টি হবে। মনে রাখা দরকার পর্যটন বিকাশে অবকাঠামো, নিরাপত্তা এবং জিনিসপত্রের মান ও দামের সামঞ্জস্যতা এই তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগ, অধিদফতর ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা গ্রহণ করলে খুব দ্রুত সুফল পাওয়া সম্ভব হবে।

কারণ দেশের অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সৌখিনতা ও ভ্রমণবিলাসের প্রবণতা বাড়ছে। এটি খুবই ইতিবাচক একটি দিক। কারণ এখন দেশের মধ্যবিত্ত এমনকি নিম্নবিত্তরাও সময়-সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে পর্যটনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি ক্ষেত্রে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমগুলো বিরাট ভূমিকা রাখছে। বিশেষত ফেসবুকের কল্যাণে ভ্রমণপিপাসু মানুষের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর ছবি ও ভিডিও ক্লিপগুলো সর্বসাধারণকে ভ্রমণে উৎসাহী করে তুলছে। এছাড়া পর্যটন নিয়ে ব্যাপকভাবে লেখালেখি হচ্ছে। এসবের মাধ্যমে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্রের আবিষ্কার এবং ভ্রমণে এসব স্থান ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে মুসলিম পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে চলছে। ২০১৫ সালে মুসলিম পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১১৭ মিলিয়ন, যা ২০২০ সালে ১৮০ মিলিয়নে পৌঁছাবে। এ চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০১৪ সালে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রীদের এক সম্মেলনে ২০১৫ সাল থেকে মুসলিম দেশগুলোর বিভিন্ন শহরকে ওআইসি পর্যটন শহর হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ঢাকাকে ওআইসি পর্যটন শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য সুখবর বয়ে এনেছে ওআইসি পর্যটন সম্মেলন। ২০১৮ সালের ওআইসির আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঢাকাকে ওআইসি পর্যটন শহর-২০১৯ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঢাকার ৪০০ বছরের ইসলামিক ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি সারাবিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরতে যা অনন্য ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে ঢাকা তথা সারাদেশ সমগ্র বিশ্ব ও মুসলিম দুনিয়ায় নতুন করে পরিচিতি লাভ করবে।

কমবেশি সবারই জানা, ভবিষ্যতে বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হবে এশিয়া মহাদেশ। ওআইসির এমন ঘোষণার ফলে বাংলাদেশ তার একটা বড় অংশীদার হতে পারে এখন। এ জন্য ওআইসির ১৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তার আওতায় ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলোর সংস্কার ও সজ্জিতকরণ সম্ভব হবে। এতে ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন ঘটবে। ঢাকার পর্যটনগত ধর্মীয় গুরুত্ব বাড়বে, বাড়বে ঢাকা ভ্রমণের আগ্রহ। অন্যদিকে ওআইসির অঙ্গসংগঠন ইসলামিক এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন ২০১২ সালের জন্য ঢাকাকে ইসলামী সংস্কৃতির এশীয় অঞ্চলের রাজধানী ঘোষণা করে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব ও ঢাকার মর্যাদা তৈরি করেছে। রাজধানী ঢাকায় রয়েছে অসংখ্য মুসলিম ঐতিহ্য। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন শিল্প। তা ছাড়া মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত, যা বিশ্ব ইজতেমা নামে পরিচিত, তা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। এই জমায়েতকে উপলক্ষ করে বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলা যেতে পারে। বাংলাদেশ বর্তমানে এ খাত থেকে যেখানে প্রায় ৭৬.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বার্ষিক আয় করে, সেখানে সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়- ভারতে পর্যটন খাত থেকে আয়ের পরিমাণ ১০,৭২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মালদ্বীপে ৬০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলংকায় ৩৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পাকিস্তানে ২৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নেপালে এর পরিমাণ ১৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা। পর্যটনের বিকাশের জন্য এসব বিভাগের মধ্যে সঠিক সমন্বয় সাধন করতে হবে। তা ছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে। আর সারাবিশ্বের মানুষের কাছে আমাদের পর্যটনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে আমাদের সাহায্য নিতে হবে তথ্যপ্রযুক্তির। ওয়েবসাইট গুলোকে আমরা এখনও পর্যটকবান্ধব করে গড়ে তুলতে পারিনি। এসব ওয়েবসাইটকে আরও তথ্যবহুল করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে করে একটি স্থান থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটক প্রয়োজনীয় সবরকম তথ্য পেতে পারেন। তা ছাড়া বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হলো প্রচারণার এক অনন্য মাধ্যম। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ফ্লিকারসহ অন্যান্য মাধ্যম আমাদের পর্যটনের প্রচারণায় বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়া হবে পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। তাই আমাদের লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা উচিত কীভাবে আমরা নিজেদের প্রস্তুত করব ভবিষ্যতের জন্য। পর্যটনের যে বিপুল সম্ভাবনা এ অঞ্চলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে, তার থেকে কীভাবে আমরা লাভবান হবো, তা ঠিক করার এখনই উপযুক্ত সময়। পাশাপাশি ওআইসির মাধ্যমে আমাদের সামনে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে একধাপ এগিয়ে যেতেই পারি। অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছে বাংলাদেশে। এখন প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ লাখ দেশীয় পর্যটক ঘুরতে যান। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২৫ থেকে ৩০ লাখ।

বিদেশি পর্যটক নির্ভরতা ছাড়াও দেশীয় পর্যটকের নিরাপত্তা, যোগাযোগ সুবিধা, আকর্ষণীয় অফার এবং পর্যটন ব্যয়সীমার মধ্যে থাকলে দেশের মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেশ ঘুরে দেখতে চাইবে। এক হিসাবে বলা হয়, ১৬ কোটির বেশি মানুষের বাংলাদেশ গড়ে প্রতিবছরে ১০ ভাগও যদি দেশ ঘুরে দেখে তাহলে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক তৎপরতা সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন ঘটছে পর্যটন শিল্প বিকাশের ফলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ১ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে পর্যটন খাতে। এই শিল্পের মাধ্যমে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা মূল্য সংযোজন হচ্ছে ১৬ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের পর্যটন শিল্প বিকাশের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমরা এই শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সফল হতে পারিনি। এই শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যা করতে হবে যেমন; দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্যে বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক প্রচার ও উদ্যোগ। সরকারী-বেসরকারী বিনিয়োগ ও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও শুধু প্রকৃতির দানের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রয়োজন পর্যটনকে বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সুযোগ-সুবিধা দিলে পর্যটকরা অধিক হারে আকৃষ্ট হতে পারে। দেশের আনাচে-কানাচে অরক্ষিত ঐতিহ্যমণ্ডিত দর্শনীয় স্থানগুলোকে সুরক্ষিত করা হলে স্থানীয়ভাবে বহু লোকের নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এছাড়া পর্যটনে তরুণদের আগ্রহ ইতিবাচক। দেশ ঘুরে দেখার আগ্রহ বাড়ছে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। পড়াশোনা ও কাজের ফাঁকে এখন গ্রুপভিত্তিক তরুণ-তরুণীরা দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, পর্যটনে বাড়ছে নারীদের আগ্রহ। বাংলাদেশে নারীরা এখন একাই বেরিয়ে পড়ছে। আরেকটি লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, বিগত ১০ বছরে ঈদকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের মধ্যে ভ্রমণ প্রবণতা নতুন আশাবাদ জাগাচ্ছে। ঈদ পর্যটনে বাংলাদেশের সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলেছে। কারণ ব্যস্ত কর্মজীবনে ঈদের ছুটিকে মানুষ এখন গ্রামের বাড়ি বেড়ানোর পাশাপাশি নিজ এলাকা ও অন্যান্য স্থানেও ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। বিশ্বের বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ঈদ পর্যটনকে কেন্দ্র করে। তাই আমাদের দেশেও ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পও জড়িত হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি ঈদে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে কক্সবাজার, যেখানে সারা বছর কক্সবাজার ভ্রমণে যায় ১৫ থেকে ২০ লাখ পর্যটক। ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ পর্যটন স্থানগুলো ছাড়াও জেলা পর্যায়ে ভ্রমণে বিশেষ প্যাকেজ থাকলে ঈদ পর্যটনের আয় ও জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। এমনকি পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ বাড়ানো দরকার। পর্যটন শিল্প নিয়ে লেখালেখি ও ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রদর্শনী বাড়ানো দরকার। পর্যটনবিষয়ক লেখালেখিকে উৎসাহিত করতে পর্যটন করপোরেশন পুরস্কার প্রবর্তন করতে পারে। মোটকথা সার্বিক অবকাঠামোর উন্নয়ন ছাড়া পর্যটনের প্রসার ঘটানো কঠিন হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বের কয়েকটি দেশ একমাত্র পর্যটনকে অবলম্ব^ন করেই সমৃদ্ধির শিখরে আরোহন করছে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই বাংলাদেশে। আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঠিকমতো ও পরিকল্পিত ভাবে করতে পারলে সুইজারল্যান্ড,পাতায়া, ব্যাংককের মতো ট্যুরিজম এখানেও গড়ে উঠতে পারে।

লেখক ও কলামিস্ট ই-মেইল : [email protected]

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পর্যটন শিল্প,রায়হান,মুক্তমত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close